প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ বালি খাদান

author-image
New Update
প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ বালি খাদান

সুদীপ ব্যানার্জী, কোচবিহার: প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ বালি খাদানের ব্যবসা। কোচবিহারে মাথাভাঙ্গা জুড়েই নদীর চরে রমরমিয়ে চলেছে এই অবৈধ ব্যবসা। মাথাভাঙ্গা মহকুমাজুড়ে বিভিন্ন নদীর চরে একাধিক অবৈধ বালি খাদান চলছে বলে অভিযোগ। মাথাভাঙ্গা শহরে অবস্থিত মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দপ্তরের খুব কাছেই শহর সংলগ্ন মানসাই নদীর চর থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি সকলের নজরে এলেও আশ্চর্যজনকভাবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ ও প্রশাসনের নজরে আসছে না।বুধবার মাথাভাঙ্গা শহর সংলগ্ন মানসাই নদীর চরে পৌঁছোতেই নজরে আসে নদীর চর থেকে অবাধে বালি তোলা হচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে ট্র্যাক্টর চালক এবং বালি তোলার সঙ্গে নিযুক্ত শ্রমিকদের প্রশ্ন করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নদীর চর থেকে অবাধে বালি চুরি হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে রাজস্বের। কিন্তু প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। মাথাভাঙ্গা মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক মহম্মদ কেয়ামুদ্দিন জানান, শহর সংলগ্ন মাইসাই নদীর চরে বেআইনিভাবে বালি চুরি হওয়ার খবর পাওয়া মাত্র সেখানে দপ্তরের কর্মী পাঠানো হয়। তবে বালি তোলার কাজে নিযুক্ত সকলেই পালিয়ে যায়। দপ্তরের তরফে জরিমানা করা হয়েছে। একইসংগে তিনি এও বলেন, ‘বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। তবে সব সময় পুলিশ উপস্থিত থাকে না। পুলিশ থাকলে অভিযানে সুবিধা হয়।