/anm-bengali/media/post_banners/nMkeYoEjH58cEgmNcdQA.jpg)
হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশে রবিবনার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া পালিত হচ্ছে। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। এদিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার গুরুত্বপর্ণ একটি অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া।
দুর্গাপূজার এই সূচনার দিনটি সারা বাংলাদেশে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। রোববার ভোর ৬টায় ঢাকা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি। বাংলাদেশের অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান চলছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করছেন। দেবী দুর্গার আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদ্যাপন করতে ভোর সাড়ে পাঁচটায় বনানী মাঠে দেবীবরণের আয়োজন করে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন। পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই প্রতীক্ষা মায়ের পুজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।
​
আগামী ১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজ রোববার থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি শুনা যাচ্ছে।
এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরূষের স্মরন করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেছেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে, এই দিনে প্রয়াতদের আত্মা মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াতদের আত্মার এই সমাবেশকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষেরও শেষদিন এটি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us