/anm-bengali/media/post_banners/2odSf2AE1yBUnQVGNHQg.jpg)
হাবিবুর রহমান, ঢাকা: আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। বাংলাদেশে ‘বাঘ বাঁচায় সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ জীবন’ আর বিশ্বে ‘তাদের বেঁচে থাকা আমাদের হাতে’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বা বাঘের অন্যতম আবাসস্থল সুন্দরবন-সংলগ্ন বাগেরহাট ও খুলনায় দিবসটি উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি নেই।
এর আগে ২০০৪ সালে যেখানে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০, সেখানে এখন বাঘ রয়েছে ১১৪টি। দেড় যুগেরও কম সময়ের ব্যবধানে ৩২৬টি বাঘ কমে যাওয়া বা মারা যাওয়াকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তবে সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ক্যামেরা ট্র্যাকিং পদ্ধতি বাঘ জরিপে বাঘের সংখ্যা এখন ১১৪টি। চোরাশিকার বন্ধে স্মার্ট পেট্রোলিংও চালুকরণসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৩৫০টি। ১৯৮২ সালের জরিপে দেখা যায় বাঘের সংখ্যা ৪২৫টি। ১৯৮৪ সালে সুন্দরবনের ১১০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় জরিপ চালিয়ে ৪৩০ থেকে ৪৫০টি বাঘ থাকার কথা জানানো হয়। ২০১৮ সালে করা একটি জরিপের ফলাফলে বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে ১১৪টি। ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাকিং’ পদ্ধতিতে পরিচালিত জরিপে বাঘের সংখ্যা বলা হয়েছে ১০৬টি।
২০০৪ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী ৪৪০টি বাঘের মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় ৮৯টি পুরুষ, ১৭০টি স্ত্রী এবং ১২টি বাঘ শাবক, বাগেরহাটের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় ৩২টি পুরুষ, ১২৮টি স্ত্রী এবং ৯টি বাঘ শাবকের অবস্থান জরিপে উল্লেখ করা হয়েছিল। অর্থ্যাৎ দেড় যুগেরও কম সময়ের ব্যবধানে ৩২৬টি বাঘ কমেছে সুন্দরবনে। আর কয়েক বছরে বেড়েছে মাত্র ৮টি বাঘ। তবে বর্তমানে সুন্দরবনের বাঘের আনাগোনা বাড়ছে। সম্প্রতি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় বাঘের অবাধ বিচরণ ও প্রতিনিয়ত বাঘের শাবকের দেখা মিলছে বলে জানান সুন্দরবনের জেলে-বাওয়ালিরা।
প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনের বাঘের মৃত্যুর জন্য ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস), লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়া, মিঠাপানির অভাব, খাদ্যসংকট, বন ধ্বংস, বাঘের আবাসস্থলের অভাব, চোরাশিকারি, অপরিকল্পিত পর্যটন ও বনের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, আশঙ্কাজনক হারে সুন্দরবনে বাঘ কমেছে। এটা বাঘের জন্য একধরনের হুমকি। তবে বাঘ ও সুন্দরবনের বন্য প্রাণী রক্ষায় সরকার সুন্দরবনের ৫২ শতাংশ বনভূমিকে অভয়াশ্রম ও সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us