আলিপুরদুয়ারে প্রাক্তন ও বর্তমান বিঘায়কের চাপানউতোর

author-image
New Update
আলিপুরদুয়ারে প্রাক্তন ও বর্তমান বিঘায়কের চাপানউতোর

সুদীপ ব্যানার্জী,আলিপুরদুয়ার: প্রাক্তন এবং বর্তমান বিধায়কের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে রাজনীতি সরগরম আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের অফিস থেকে ভুয়ো নিয়োগ পত্র বিলি করে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে বেশ কিছুদিন থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের লোগো লাগান জাল নিয়োগ পত্র নিয়ে নিয়োগের জন্য আলিপুরদুয়ারে বিদ্যুৎ দফতরে আসেন চাকুরি প্রার্থীরা। কিন্তু ওই নিয়োগ পত্র ভুয়ো বলার পরেও ফের অন্যান্য চাকুরি প্রার্থীরা আবার ভুয়ো নিয়োগ পত্র নিয়ে আসছেন। না পেরে বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ্য হয়েছেন জেলা বিদ্যুত দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপেন খাওয়াস। দীপেন বাবু বলেন, " আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। জাল নিয়োগ পত্র বিলি হয়েছে। আমি এই বিষয়ে আর কিছু বলব না।" জানা গিয়েছে আলিপুরদুয়ার শহরের অজিত কুমার দাস নামে এক যুবক মোটা টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ দফতরের লোগো লাগানো ভুয়ো নিয়োগ পত্র পান। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতরে খোঁজ নিয়ে জানেন যে এই নিয়োগপত্র ভুয়ো। পরে আলিপুরদুয়ারের যার মাধ্যমে তিনি এই নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন তাকে টাকা ফেরতের জন্য চাপ দেন। আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকার বাসিন্দা সুদীপ ঘোষ পরে ওই টাকা ফেরতও দেন। অন্যদিকে সুমন কাঞ্জিলালের পাল্টা জবাব, প্রাক্তন বিধায়ক পরাজিত হওয়ার ফলেই তিনি আমার এবং মনোজ টিজ্ঞার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছেন। একইসংগে তিনি এও বলেন, প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী আসামীদের নিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রচার করেছেন। অন্যদিকে শুক্রবার প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জেলা পুলিশ সুপার অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে  প্রাক্তন এবং নব বিধায়কের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে।