সুন্দরবন নিয়ে নতুন বই

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
সুন্দরবন নিয়ে নতুন বই
দিগ্বিজয় মাহালী, মেদিনীপুরঃ সুন্দরবন নিয়ে নিজের লেখা বই প্রকাশ করলেন বনকর্তা বিজয় চক্রবর্তী। বইয়ের নাম দিয়েছেন "অনুভবে সুন্দরবন"। রবিবার গোপগড় ইকো পার্কের এক ভবনে বইটির উদ্বোধন করেন মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও সন্দীপ বেরওয়াল। ছিলেন এডিএফও শুভাশীষ ঘোষ, হিজলী কলেজের অধ্যক্ষ, জ্বলদর্চি পত্রিকার সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠি-সহ অনেকে।
বিজয় চক্রবর্তী নিজে একজন বনকর্তা। বর্তমানে মেদিনীপুর বনবিভাগের এডিএফও। বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাতে। বন দফতরে প্রথম রেঞ্জ আধিকারিক হিসেবে যোগদান করেন। বারো বছর কাজের মধ্যে তিন বছর ছিলেন সুন্দরবনে। সেখানকার মানুষজনের জীবন সংগ্রাম তাঁর নজরে আসে। ওখানকার নদীগুলোর জোয়ার-ভাটার সাথে তাদের জীবন সংগ্রাম ওঠা-নামা করে। সংঘাত বাড়তে থাকে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের। এই সংঘাত কমানোর কাজে যুক্ত বনকর্মী সহ কিছু মানুষের জীবন চর্চার সঙ্গে জঙ্গল সন্নিহিত মানুষজনের কথা উঠে এসেছে "অনুভবে সুন্দরবন" বইটিতে। ধরা পড়েছে প্রকৃতির রূপ-রস। সহজভাবে উপস্থাপিত হয়েছে ছোট ছোট গল্প কথায়।


বিজয় বাবু বলেন, "সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, প্রকৃতি ও জীবনযাপনের ছবি এই বইতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।" এই বইটি প্রকাশ করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছে তাঁর। সুন্দরবনে থাকাকালীন প্রতিদিন যা দেখতেন ডায়েরিতে লিখে রাখতেন। ওই অঞ্চলের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতেন তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে। অনেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্য মাছ, কাঁকড়া ধরেন। যেদিন কেউ নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরতে যান, সেদিন তার বাড়ির লোক সারারাত অপেক্ষায় থাকেন, এমনও পরিবারের কাহিনী শুনেছেন বিজয়বাবু। কর্মসূত্রে দেখেছেন "বাঘবন্দি খেলা"। তাও গল্প কথায় স্থান পেয়েছে বইটিতে। বনরক্ষী, বনকর্মী, বন দফতরের অবদানও স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের একটি গ্রামের বিকেলের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন লেখায়। ডিএফও সন্দীপ বেরওয়াল বলেন, "কাজের মধ্যে থেকেও এইরকম একটি বই প্রকাশ খুবই প্রশংসনীয়। এই বই থেকে মানুষজন অনেক নতুন নতুন তথ্য পাবেন।"