/anm-bengali/media/post_banners/uOC6rxnLakNhYfHgIo0o.jpg)
রাহুল পাসোয়ান, আসানসোল: শুধুমাত্র শখ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখে মনের ইচ্ছে। তাই বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন আসানসোল পুরনিগমের ৯৯ নং ওয়ার্ডের ঝুনুট গ্রামের শংকর বাউরি। ১ বা ২ বছর নয় ১৮/১৯ বছর ধরে শংকর বাঁশি বাজিয়ে চলেছে। কুলটির মানিকেশ্বর মন্দির এলাকা শংকরের বাঁশি বাজানোর অন্যতম পছন্দের জায়গা। তবে সরকারি কোন সাহায্য এখনো শংকরের ভাগ্যে জোটেনি। সেই আশায় সে অবশ্যই আছে। তবে, সরকারি সাহায্য পাওয়ায় জন্য কি করতে হবে বা কোথায় যেতে হবে, তা এই বংশীবাদকের জানা নেই। তবে, যদি কোনদিন সে সরকারি সাহায্য পায়, তাহলে সে কিছু একটা করে দেখিয়ে দেবে। এখন শংকর করোনা আবহে দিন মজুরের কাজ করে। করোনার প্রকোপে এখন প্রায় সব কাজই বন্ধ। তবুও যেদিন যেমন কাজ পায়, শংকর সেটাই করে। কিছু তো করার নেই পেট তো আছে। যে দিন কাজে যাওয়ার থাকেনা, সেদিন সে মন্দিরে বাঁশি বাজাতে আসে।
সে নিজেই বলে, “বড় কোন অনুষ্ঠান করিনি। এই কীর্তনের মতো পালায় বাঁশি বাজিয়েছি। আমার গুরু বলতে কেউ তেমন নেই। দু/চার কলি গানও গাইতে পারি। সেটা ভক্তি গীতি ও পালা কীর্তনের গান।“ শংকর সেই গান শুনে শুনে শিখেছে।
শংকর বলে,” সরকারি সাহায্য পেলে তো ভালোই হয়। কিন্তু কোথায় পাবো? কার কাছে যেতে হবে তাও জানিনা। কোনদিন সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদনও করিনি।“ এইভাবেই চলছে শংকরের জীবন। সঙ্গী বলতে সেই বাঁশি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us