অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে ভাঙল বগির চাকার স্প্রিং

author-image
Harmeet
New Update
অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে ভাঙল বগির চাকার স্প্রিং

হাবিবুর রহমান, ঢাকা: পরশু অর্থাৎ রবিবার বাংলাদেশে ইদুল আজহা। আপনজনের সঙ্গে ইদ করতে ঢাকার মানুষ গ্রামের বাড়ির পথে ছুটে চলেছেন। প্রতিবছর এমনটা ঘটে। আর ঢাকাবাসী যেন-তেনভাবে ঘরমুখী হতে প্রাণের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছেন না। দ্রুত ঘরে ফিরতে মানুষ উত্তাল পদ্মা-মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন স্পিডবোটে করেও। পরিবারের সঙ্গে ইদ উদযাপন করতে রেলপথে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ছুটির দিন শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

এবার ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বগির চাকার স্প্রিং ভেঙে ট্রেনটি বিকল হয়ে গিয়েছে। ট্রেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। তবে মেরামত শেষে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেনটি আবার চালু হয়। ইদের কারণে শুক্রবার সকালে ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে এ কাণ্ড ঘটে।

 

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের মাস্টার ইসমাইল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে কয়েকটি বগির চাকার স্প্রিং ভেঙে যায়। ট্রেনের পাঁচটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামত কাজ শেষে ৬ ঘণ্টা পর ১১টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি আবারো পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। রেলটি আটকে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ। রেলের ভেতরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ছাদে করে বাড়ি রওনা দিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ছাদেও নেই তিল ধারণের জায়গা। তবুও প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাচ্ছেন হাজারো যাত্রী। কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ ট্রেনে চেপে বাড়ি রওনা করেছেন। যার প্রভাব কিছুটা পড়েছে। এত বেশি যাত্রীর চাপ এবং মানুষের যে স্রোত, সেটা ঠেকানো যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, 'আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জিআরপি পুলিশ সবাই যাত্রী চাপের কাছে ব্যর্থ হয়েছে। ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রী নামানো যাচ্ছে না।' শুক্রবার সকালে স্টেশন ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেন ছিল ঘরমুখী যাত্রীতে ঠাসা। বৃহস্পতিবার পোশাক কারখানা, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় রেলপথে যাত্রী চাপ বেড়েছে। উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো ঠিক সময়ে কমলাপুর ছেড়ে যেতে পারছে না। এর মধ্যে কোনোটা এক থেকে দুই ঘন্টা দেরিতে যাচ্ছে বলেন তিনি। খুলনার সুন্দরবন এক্সপ্রেস প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে।