নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পুরীর রথযাত্রার ঠিক ৮ দিনের মাথায় গুণ্ডিচা মন্দির থেকে যাত্রা করেন নিজ ধাম পুরীর মন্দিরের উদ্দ্যেশে। বাঙালীরা একেই বলে থাকেন উল্টোরথ। কিন্তু পুরীতে প্রকৃত অর্থে ''উল্টোরথ'' বলে কিছু নেই। ওড়িশায় এই দিনটিকে বলা হয় '' বাহুরযাত্রা''। আসলে গুণ্ডিচা দেবী ছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের স্ত্রী। রুদ্ধদ্বারে জগন্নাথ মন্দির নির্মানকালে বিশ্বকর্মার কাজে ভঙ্গ দিয়েছিল তিনিই। তাই এই কদিন হাওয়া বদল করতে জগন্নাথ দেব যান রাণী গুন্ডিচার নামাঙ্কিত মন্দিরে। ৮ দিন অতিক্রান্ত হলে তিনি রওনা দেন মন্দিরের উদ্দেশ্যে। পথে তাঁর রথ থামে মাসির বাড়ির কাছে।
জগন্নাথদেবের প্রিয় খাবার পোড়াপিঠা খাওয়ার জন্য থামেন এই মন্দিরের কাছে। পুরীর মন্দিরে তিনি যেন জীবন্ত দেবতা। ভক্তের কাছে তিনি মনুষ্যরূপেই যেন বিরাজমান, তাই সকালে উঠে সানুষের মতোই দাঁতন করে তবেই আহার গ্রহণ করেন। জগন্নাথ দেব খাদ্যরসিক, তাই ৫৬ ভোগের প্রস্তুতি থাকে রোজই। এর পর তিনি যাত্রা করেন রাজার গৃহের উদ্দেশ্যে।