/anm-bengali/media/post_banners/Sw5t4fKOoJ7kMwQ7TijE.jpg)
দিগ্বিজয় মাহালিঃ জেনারেটর নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলেই অন্ধকারে ডুবে যেতো হাসপাতাল। এই খবরের জেরে তড়িঘড়ি চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে অস্থায়ী ভাবে একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করলো ঘাটাল মহকুমাশাসক। বুধবার ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতর থেকে একটি জেনারেটর পাঠানো হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আপাতত সেই জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে এমনটাই জানানো হল হাসপাতালের তরফে। জানা গিয়েছে,এই জেনারেটরের সাহায্য আপাতত হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার,জরুরি বিভাগ সহ রোগীর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি বলেন, “ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতর থেকে অস্থায়ী ভাবে একটি জেনারেটর দেওয়া হয়েছে,তাকে দিয়েই আপাতত কাজ চলবে। জেনারেটর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জেলাশাসক ও সিএমওএইচ'কে জানানো হয়েছে। আশাকরি তারও দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে”। উল্লেখ্য, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকি খড়গপুরের একটি সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা মিললেও গত সাড়ে তিন বছরে সেই ঠিকাদার সংস্থার বিল বকেয়া প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই বিল না মেটানোয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। এর জেরে বিদ্যুৎ চলে গেলে গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যায়। বিদ্যুৎ চলে গেলে ওয়ার্ডে মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয় রোগীদের। এমনকি বিদ্যুৎহীন ওয়ার্ডে গরমে রোগীরা থাকতে না পেরে ওয়ার্ডের বাইরেও বেরিয়ে চলে আসে। হাসপাতালের এমন বেহাল অবস্থার ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আপাতত ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের তৎপরতায় তার দফতরে থাকা একটি জেনারেটর চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us