ব্রাহ্মী শাকের মধ্যে থাকা ব্যাকোসাইড একটি রাসায়নিক, যা স্নায়ুকোষের অবক্ষয় রুখে দেয়। বলা হয় এই শাক মস্কিষ্কের কিছু রাসায়নিকের ক্ষরণ বাড়া. যার জেরে স্মৃতিভ্রমের সমস্যা রোধ হয়। বলা হয়, ব্রাহ্মীশাক স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ফলে উদ্বেগ আর হতাশার হাত থেকে মুক্তি পেতে এই ব্রাহ্মীশাক খুবই উপকারি। বলা হয়, মস্তিষ্কে হমোক্যাম্পাল অংশে খুব প্রভাব ফেলে ব্রাহ্মীশাক। মনে করা হয় মস্তিষ্কের বিকাশে এটি খুবই সাহায্য করে। মনে করা হয়, স্মৃতিশক্কি বাড়াতে ভূমিকা রয়েছে ব্রাহ্মীশাকের।

ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে শক্তি বাড়াতে

ব্রাহ্মীশাকে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে ডিটক্সিফাই করে থাকে। শরীর থেকে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এই গুণ। যার জেরে ক্যানসারের সম্ভাবনা লাঘব হয়। এছাড়াও দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শরীরকে তরতাজা করতে ব্রাহ্মীশাক উপকারি। যাঁরা অল্পে কাহিল হন, তাঁদের জন্য এই শাক শরীরে তাকত জোগায়। ফলে এই শাকের জুস তাঁদের জন্য উপকারি।

বাতের ব্যথা থেকে গ্যাসট্রিক সমস্যা

বহু ধরনের ব্যথায় উপকারি এই ব্রাহ্মীশাক। যাঁদের বাতের ব্যথা রয়েছে, তাঁদের জন্যও উপকারি এই শাক। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ব্রাহ্মীশাক খুবই উপকারি। এছাড়াও প্রদাহ জনিত ব্যথা, জ্বালা কমাতে ব্রাহ্মীশাকের গুরুত্ব রয়েছে।

ডায়াবেটিসের জন্য

ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রাহ্মীশাক খুবই উপকারি। এছাড়াও, বলা হয়, হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সমস্যা থাকলে এই শাক উপকারি। ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক সময় বলা হয়, গরমভাতে ঘি দিয়ে ব্রাহ্মী শাক খেতে।