এখানে চলচ্চিত্রের শুটিংও হয়েছে

কুবার পেডির মানুষের জীবনধারা বেশ অন্যরকম। আর এই জীবনধারাই সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানে হলিউডের ছবির শুটিং হয়েছে এই জায়গায়। ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'পিচ ব্ল্যাক' ছবির শুটিং এখানে হয়েছিল। শুটিং শেষে চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত স্পেস শিপটি এখানে ফেলে রেখে যায় প্রয়োজক সংস্থাটি। সেই স্পেস শিপও এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। শহরের বিদ্যুতের চাহিদার ৭০ শতাংশ মেটানো হয় এখানে নির্মিত হাইব্রিড এনার্জি পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে।

এখানে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে

কুবার পেডিতে আসা পর্যটকদের জন্য একটি আন্ডারগ্রাউন্ড হোটেলও রয়েছে। এখানে এক রাত থাকার জন্য পর্যটকদের ১২ হাজার টাকার বেশি দিতে হয়। হোটেলে একটি দুর্দান্ত ক্লাব, পুল গেমের জন্য টেবিল, ডাবল এবং সিঙ্গল বেড সহ কক্ষ রয়েছে। রয়েছে সোফা এবং রান্নাঘরের সুবিধাও।

এই কারণে মানুষ মাটির নীচে বাস করে

কুবার পেডিতে খনির কাজ শুরু হয়েছিল ১৯১৫ সালে। মরুভূমি হওয়ায় গ্রীষ্মকালে সেখানকার তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায় এবং শীতকালে অনেকটাই কমে যায়। এই আবহাওয়ার ধরনের সঙ্গে বসবাস করা মানুষের পক্ষে খুব কঠিন। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে, মানুষ খালি পড়ে থাকা খনিগুলিতে বসতি স্থাপন শুরু করে।

এটি ওপাল ক্যাপিটাল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে বিখ্যাত

কুবার পেডি শহরটি যেখানে অবস্থিত সেখানে রয়েছে অনেকগুলি ওপালের খনি। নাগরিকরা শুধুমাত্র পরিত্যক্ত ওপাল খনিতে বাস করেন। ওপাল একটি অত্যন্ত বহুমূল্য রত্ন। বাংলায় একে বলে ময়ূরাক্ষী রত্ন। জ্যোতিষশাস্ত্রে এর ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। আংটিতে ওপাল বা ময়ূরাক্ষী পরা হয়। একাধিক ওপাল খনির কারণে কুবার পেডিকে বলা হয় 'ওপাল ক্যাপিটাল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড'।