/anm-bengali/media/media_files/2025/11/03/shafali-verma-2025-11-03-00-19-16.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: শেফালি ফিরে এলেন আগুন হয়ে! ব্যাটে তান্ডব, হাতে বল— বিশ্বকাপের ফাইনালে তৈরি করলেন ইতিহাস। কে বলেছিল তিনি নীরব? কে ভেবেছিল এতদিনের বিরতির পর ম্লান হয়ে ফিরবেন? শেফালি বর্মা যেন রাগ, চোখের জেদ আর প্রতিজ্ঞা নিয়ে নামলেন মাঠে। আর সেই আগুনেই আলোকিত হয়ে উঠল ডিওয়াই পাটিলের আকাশ।
ভারতের এই তরুণী বিস্ময় একাই বদলে দিলেন ফাইনালের গল্প। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরি এবং দুই উইকেট— দুই দিকেই ইতিহাসের ইট বসালেন তিনি। দু’হাতে যেন স্বপ্ন ধরে নিয়ে ফিরলেন তিনি, আর ভারত দেখল— নারীর ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়। স্মৃতি মন্ধানার সঙ্গে ১০৪ রানের ঝলমলে জুটি, তারপর জেমিমা রদ্রিগেজের সঙ্গে আরও ৬২ রান— যেন প্রতিটি বলেই শোনা যাচ্ছিল তাঁর মননের আওয়াজ, “আমি ফিরেছি। আরও বড় হয়ে।” ৮৭ রানের টর্নেডোই ভারতকে শুরুর জোর দিল। কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়।
অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত— হঠাৎ বল হাতে এলেন শেফালি। আর যেন বজ্রপাত। প্রথম বলগুলোই বলল, তিনি শুধু ব্যাটার নন, তিনি এক পূর্ণাঙ্গ আগ্নেয়গিরি। দ্বিতীয় বলেই সুনে লুয়েসকে ক্যাচ-অ্যান্ড-বোল্ড। পরের ওভারেই মারিজান কাপ— বোল্ড! দর্শক, ডাগআউট, কোটি ভারতের বুক— একসঙ্গে চিৎকার করে ওঠে। এ ইতিহাস, এ এক যোদ্ধার প্রত্যাবর্তন।
ডিপ্তি শর্মার ৫৮ রানের শান্ত কিন্তু দৃঢ় ইনিংস, রিচা ঘোষের বিস্ফোরক ২৪ বলে ৩৪— শেফালির রণধ্বনিকে আরও উঁচু করল। ২৯৮— সংখ্যা নয়, ছিল ভারতীয় মেয়েদের মুষ্টিবদ্ধ স্বাধীনতা।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/03/shafali-vermaq-2025-11-03-00-55-15.png)
দক্ষিণ আফ্রিকার লরা ভলভার্ট চেষ্টা করেছিলেন, Tazmin Brits-এর সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু অমনজ্যোত কৌরের সরাসরি থ্রো যেন বলল— “এই গল্প অন্যরকম, এই গল্প ভারতের।” কোনও পরীর কাহিনি নয়— এটা সত্যি। মাঠে মেয়ে মানেই গায়ে উড়ছে গর্বের পতাকা।
এ রাত শুধু ক্রিকেটের নয়, নারীর সাহসের, স্বপ্নের, অশ্রুজলের, সংগ্রামের। আজ ভারতের রঙ নীল নয়— আগুন। আর সেই আগুনের নাম শেফালি বর্মা।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us