/anm-bengali/media/media_files/2025/10/22/whatsapp-2025-10-22-15-43-57.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাস্তবে যেন সিনেমার গল্প! বাংলাদেশে হারিয়ে যাওয়া এক ছেলের ৮ বছর পর খোঁজ মিলল ভারতের মাটিতে। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের তারালি হাকিমপুর এলাকায় বসবাস করছিল সেই যুবক — নাম মমিনুর রহমান।
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি পাইথালী গ্রামের বাসিন্দা মমিনুরের বয়স এখন ২০। বাবা গাউস মোল্লা, মা মর্জিনা বিবি। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে যখন তার বয়স মাত্র ১২, তখন মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় সে ভুলবশত সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। এরপর থেকেই শুরু হয় এক দীর্ঘ বিচ্ছেদযাত্রা।
ভারতের এই সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা মমিনুরের দায়িত্ব নেন, আশ্রয় দেন, যত্ন নেন। দিন কেটে যায় বছর ধরে, কিন্তু নিজের বাড়ির ঠিকানা বা পরিবারের সন্ধান দিতে পারেনি সে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/22/bangladeshi-boy-2025-10-22-15-22-40.png)
কিন্তু হঠাৎই এক স্থানীয় যুবক মমিনুরের জীবনকাহিনী নিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন। সেখানেই ঘটে চমকপ্রদ ঘটনা — সেই ভিডিও দেখে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় থাকা গাউস মোল্লা ও মর্জিনা বিবি ছেলেকে চিনে ফেলেন! ভিডিওর নিচে তাঁরা মন্তব্য করে জানান, “এ তো আমাদের মমিনুর!”
এরপরেই তাঁরা প্রমাণস্বরূপ নথিপত্র পাঠান ভারতের স্বরূপনগর থানায় এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ান বিএসএফের কাছে যোগাযোগ করেন। সব দিক খতিয়ে দেখার পর বাবা-মা ও ছেলের মধ্যে ভিডিও কলের ব্যবস্থা করা হয়। পর্দায় ছেলেকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মা-মেয়ে দু’জনেই। দৃশ্যটি যেন একেবারে বলিউডের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির মতোই আবেগঘন হয়ে ওঠে।
বর্তমানে প্রশাসনিক স্তরে চলছে আনুষ্ঠানিক কাজ। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ভারতের প্রশাসনের মধ্যে নথি বিনিময় শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই মমিনুর রহমানকে বাংলাদেশে ফেরানো হবে, এমনটাই জানিয়েছেন প্রশাসনিক সূত্র।
এদিকে, নিজের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলার পর মমিনুর জানিয়েছে, “আমি দেশে ফিরতে চাই, মা-বাবার কাছে থাকতে চাই।”
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us