/anm-bengali/media/media_files/2025/08/16/screenshot-2025-08-16-24-pm-2025-08-16-14-37-51.png)
নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্যায় ভেঙে গিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি কাঠের সেতু, নৌকায় চলছিল নদী পারাপার। জল কমলেও নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি চন্দ্রকোনার ঘোষকিরা সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। সাইকেল কাঁধে আবার জলের উপর মোটর সাইকেল চালিয়ে তো হাঁটু সমান জলে হেঁটেই ঝুঁকি নিয়ে শিলাবতী নদী পারাপারে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। ভেঙে যাওয়া সেতু মেরামত করুক প্রশাসন দাবি এলাকাবাসীর, বন্যায় ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুগুলি তৈরির জন্য জেলায় প্রপোজাল পাঠানো হয়েছে, টাকা এলেই কাজ শুরুর আশ্বাস ব্লক প্রশাসনের।
/anm-bengali/media/post_attachments/d173df8a-b82.png)
শিলাবতী নদীর জলস্তর কমলেও এখনও ভোগান্তি অব্যাহত চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা গ্রামের বাসিন্দাদের।চলতি বর্ষায় জুন মাসের ভয়াবহ বন্যায় জলবন্দি ছিল ঘোষকিরা সহ আশপাশের ৭-৮ টি গ্রাম। সেসময় গ্রামে শিলাবতী নদীর উপর থাকা ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি কাঠের সেতুটি ভেঙে যায় বন্যায়। তারপর থেকেই গ্রামবাসীরাই নৌকার ব্যবস্থা করে নদী পারাপারের জন্য। কৃষি প্রধান এলাকা সাথে ঘোষকিরা সহ ৭-৮ টি গ্রামের মানুষের জরুরি অন্যান্য প্রয়োজনে এই শিলাবতী নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে নদীর জলস্তর কম থাকায় তাতে নৌকা চলাচল বন্ধ, এদিকে ভেঙে রয়েছে কাঠের সেতুটিও। অগত্যা সাধারণ মানুষকে হাঁটু সমান জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।স্কুল পড়ুয়া হোক বা স্বাস্থ্য কর্মী,একাধিক গ্রামের মানুষকে পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে তো আবার কেউ মোটর সাইকেল চালিয়ে নদীর জলে যাতায়াত করতে হচ্ছে।ঘোষকিরায় শিলাবতী নদী পারাপারে কাউকে দেখা গেল সাইকেল কাঁধে নিয়ে আবার কাউকে জলেই ঝুঁকি নিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে পার হতে।মোটর সাইকেল নদীর জলে ডুবিয়ে পার হতে গিয়ে বাইক আরোহীদের পড়তে হচ্ছে যান্ত্রিক গোলযোগে।আবার অধিকাংশই পায়ে হেঁটে নদীর জল পার হচ্ছে।আর এতেই চরম ভোগান্তিতে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর।তারা জানাচ্ছেন,সেতু নেই নৌকা চলছিল তাও বন্ধ।এভাবে নদীর জল পেরিয়ে কতোদিন তাদের ভোগান্তি পোয়াতে হবে।দ্রুত প্রশাসন ভাঙা সেতু মেরামত বা নতুন সেতু তৈরি করুক দাবি তাদের।এবিষয়ে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক জানিয়েছেন,এই বন্যায় আমাদের ব্লকে মোট ১০-১২ টি সেতু ভেঙে গিয়েছে,কিছু মেরামত হয়েছে।বাকিগুলির জন্য এস্টিমেট করে জেলায় পাঠানো হয়েছে,টাকা এলেই সেগুলি মেরামত বা নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে।"নদীতে জল থাকায় কোথায় কতোটা গভীরতা রয়েছে তা আন্দাজ করে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপারে কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।এখন দেখার কবে নদী পারাপারের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলে ঘোষকিরার বাসিন্দাদের।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us