/anm-bengali/media/media_files/2025/10/25/whatsapp-image-2025-10-25-2025-10-25-19-14-22.jpeg)
ELEPHANT
নিজস্ব সংবাদদাতা : তখনও সূর্যের আলো ফোটেনি। স্বামী-স্ত্রী বেরিয়েছেন দেড় বিঘা লাগানো জমির ধানের ক্ষতি দেখতে। সারারাত ধরে ওই এলাকায় আটটি হাতি দাপিয়ে বেড়িয়েছে। জমির ধান খেয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে বিঘার পর বিঘা। বহু কৃষকের রাতের ঘুম উড়েছে ক্ষতির পরিমাণ দেখে। এমনই মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়ার ডাইনমারীর বাসিন্দা পিন্টু মাহাত ও তাঁর স্ত্রী সীমা মাহাত (৪২) শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজেদের জমির দিকে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন হাতি কতটা ক্ষতি করেছে তা অন্তত নিজের চোখে দেখতে। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে অন্যান্য কাজকর্ম রয়েছে। তাই ভোরবেলায় রওনা হয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। জমিতে পৌঁছাতেই একটি হাতি পাশের জঙ্গল থেকে তাদের দিকে তাড়া করে নিয়ে আসে। জলকাদা জমিতে ছুটতে গিয়ে পড়ে যান সীমা দেবী। কিছুটা এগিয়ে যায় পিন্টু মাহাত। পেছন ফিরে দেখেন স্ত্রী পড়ে গিয়েছে জমিতে। তাকে লক্ষ্য করে ছুটে আসছে হাতি। ধান জমির মধ্যে খুঁজে না পেয়ে ওই জায়গাটি তছনছ করে দেয় হাতিটি। ওই সময় সীমা দেবী অজ্ঞান হয়ে যায়। অন্যান্য গ্রামবাসীরা পৌঁছে হাতিটিকে তাড়িয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় দেপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুরে।
মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছায় চাঁদড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। পিন্টু বাবু জানান, "বিঘা দেড়েক জমিতে ধান লাগানো হয়েছে। আর কিছুদিন পরেই সেই ধান কাটা হবে। সারারাত ধরে হাতি তাণ্ডব চালিয়েছে আমাদের এলাকায়। ফলে ভোর হতেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে জমির দিকে গিয়েছিলাম হাতিতে ফসল ক্ষতি করেছে কিনা দেখতে। সেই সময় একটি হাতি তাড়া করে নিয়ে আসে। জমির আল ধরে আমি পালাতে পারলেও, জলকাদা থাকায় স্ত্রী পড়ে যায়। হাতিটি এসে ওই ধান জমিতে খোঁজাখুঁজি করে। হাতির পায়ের আঘাতেই আমার স্ত্রী আহত হয়। বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়েছে, ফুসফুসেও আঘাত লেগেছে।"
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/03/whatsapp-image-2025-10-03-at-1-2025-10-03-10-54-07.jpeg)
ঘটনার পরেই শনিবার দুপুরে চাঁদড়া রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবি, গত সাতদিন ধরে ৩০ টি হাতির দল তাণ্ডব চালাচ্ছে। বনদপ্তর হাতিগুলিকে সরানোর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দ্রুত হাতি সরানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। বনদপ্তর জানিয়েছে, হাতিকে সরানোর চেষ্টা করা হলেও হাতির গতিপথে বাধা দিচ্ছেন মানুষজন। যার ফলে অন্য এলাকায় হাতিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চাঁদড়া রেঞ্জ আধিকারিক লক্ষীকান্ত মাহাতো বলেন, "এক মহিলা আহত হয়েছেন। হাতিগুলিকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উৎসুক জনতা হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি করছে। পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে। যারা হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।"
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us