কথা রাখেনি কেউ! জলকষ্টের মাঝেই এবার নতুন আতঙ্ক

নির্বাচন এলেই নেতারা আসেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জলের সমস্যার সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি সার হয়ে দাড়ায় দিন বদলের সাথে সাথে। আমজনতার কষ্ট সেই অচিরেই থেকে যায় ।

author-image
Pallabi Sanyal
আপডেট করা হয়েছে
New Update
গোগলা পঞ্চায়েত এলাকায় জলের সমস্যা

বাঁ-দিকে সিপিআইএম নেতা রঞ্জিত মুখার্জি, ডান-দিকে স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা বাদ্যকর

হরি ঘোষ, পাণ্ডবেশ্বর :  এমনিতেই খনি অঞ্চল পাণ্ডবেশ্বর খরা প্রবণ এলাকা বলেই পরিচিত, তার ওপর এবারের গরমের শুরুতেই প্রচন্ড তাপদাহে জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে এলাকায়। নির্বাচন এলেই নেতারা আসেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জলের সমস্যার সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি সার হয়ে দাড়ায় দিন বদলের সাথে সাথে। আমজনতার কষ্ট সেই অচিরেই থেকে যায় । পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গোগলা পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় জলের সঙ্কট দীর্ঘদিনের। অথচ নদী তীরবর্তী গ্রাম হলেও জলের সমস্যার সমাধান হয়নি এইসব এলাকায়। ২০১৪ সালে আসানসোল থেকে বিজেপির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপির টিকিটে জয়ী হন সাংসদ বাবুল। ঠিক সেই সময় নির্বাচনী প্রচারে এসে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জলের সমস্যার সমাধান করবেন কিন্তু তা ভবিষ্যতেও হয়নি। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও তৃণমূল বিধায়ক থাকার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জলের সমস্যা সমাধানের যা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের । এরপর পাণ্ডবেশ্বরের ভূমিপুত্র নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে বিধায়ক পদে আসীন হন। তিনিও নির্বাচনী প্রচারে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মানুষদের আশ্বাস দিয়েছিলেন বটে। কিন্তু আজও সমস্যার সমাধান হয়নি। এমনটাই স্থানীয়দের একাংশের মত।
 বর্তমানে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গোগলা পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পিএইচই-র নল থেকে যেটুকু জল আসতো বিগত সাত দিনে সেই জলও হয়েছে লাল রঙের। ফলে সেই জল পান করতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । কিন্তু বাধ্য হয়েই সেই জল পান করছেন এলাকার মানুষ । ফলে দেখা দিচ্ছে পেটের রোগ। নানান শারীরিক অসুস্থতা। এমনটাই স্থানীয় বাসিন্দাদের  অভিযোগ। সবিতা বাদ্যকর নামে গোগলা পঞ্চায়েতের নতুনডাঙ্গা এলাকার এক মহিলা জানান, 'হঠাৎ করে গত সাত দিন কলের জল লাল রঙের আসছে। উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে এই পান করছেন এই জল । অবিলম্বে এলাকার পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিক পঞ্চায়েত-প্রশাসন।' অন্যদিকে, 'এলাকার সিপিআইএম নেতা রঞ্জিত মুখার্জি জানান, 'যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে অবৈজ্ঞানিকভাবে নদীর বালি কাটা হচ্ছে, তার ফলে জলস্তর নেমেছে এলাকায়। অবিলম্বে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে তীব্র জলসঙ্কট দেখা দেবে।'