শিক্ষকহীন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সরস্বতী পুজোয় মেতেছেন গ্রামবাসী

এদিন স্কুলে  উপস্থিত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তরুণ পালও। সকলেই বলছেন স্কুলের সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও নেই শিক্ষক। তাই সরস্বতী পুজোর পরেই স্কুলের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কি হবে?

author-image
Jaita Chowdhury
আপডেট করা হয়েছে
New Update
dascaczv

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: শিক্ষকহীন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সরস্বতী পুজোয় মেতেছেন গ্রামের মানুষজন। সরস্বতী পুজোর পরেই বন্ধ হবে স্কুল। কারণ কিছুদিন আগে অবসর নিয়েছেন স্কুলের একমাত্র শিক্ষক। স্কুল পড়ুয়াদের কি হবে ভবিষ্যৎ? তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় অভিভাবকেরা।দ্রুত স্কুলে একজন শিক্ষক নিয়োগ হোক দাবি অভিভাবক থেকে গ্রামবাসীদের। যে স্কুলে আজ বিদ্যাদেবীর আরাধনা ও হাতেখড়ি হচ্ছে , পুজোর পর সেই স্কুলে বন্ধ হয়ে যাবে পঠনপাঠন,ভাবলেই মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে অভিভাবক থেকে গ্রামবাসীর। 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২৫ জন। পাশাপাশি, গড়ে ১০-১২ জন প্রসূতি মহিলার মিড ডে মিল হয়। গ্রামের মানুষের দাবিকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত গুরুত্ব বুঝে ২০০০ সালে একজন শিক্ষক ও একজন সহায়িকা দিয়ে এই স্কুলটি শুরু হয়।দু বছর আগে একজন সহায়িকা অবসর নেন। বর্তমানে স্কুলের একমাত্র শিক্ষক তরুণ পাল কয়েকদিন আগেই অবসর নিয়েছেন। তিনি শুরু থেকেই এই স্কুলের শিক্ষকতা করে আসছিলেন। তাঁর অবসরে বর্তমানে শিক্ষকহীন স্কুল. বন্ধ পঠনপাঠন থেকে মি ডডে মিল। স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাঁধুনিদের।আর সেই স্কুলেই আজ বাণী বন্দনায় মেতেছে গ্রামের মানুষজন ও স্কুল পড়ুয়ারা। তবে সকলেরই মুখভার।

এদিন স্কুলে  উপস্থিত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তরুণ পালও। সকলেই বলছেন স্কুলের সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও নেই শিক্ষক। তাই সরস্বতী পুজোর পরেই স্কুলের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কি হবে?এই ছাত্ররা যাবে কোথায়? উত্তর নেই কারোও কাছে। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুলটি,এই গ্রাম থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে অন্যান্য স্কুলগুলি। তাই ছোট্ট স্কুল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সকলেই। সকলেই চাইছেন এই স্কুলে দ্রুততার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। নইলে স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। তাতে সমস্যায় পড়বে প্রত্যন্ত ওই গ্রামের খুদে পড়ুয়ারা। 

 এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাসের সঙ্গে  গ্রামবাসীরা যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব নয়। সম্ভবত, ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যত্র পাঠাতে হবে। এখন দেখার  শেষমেশ এই স্কুলের ভবিষ্যৎ কি হয়। সরস্বতী পুজো বন্ধ ঠেকাতে গ্রামবাসী অভিভাবকরা হাত লাগিয়ে পুজোর আয়োজন করলেও, পুজো কাটলে পঠনপাঠনের কি হবে? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অভিভাবক থেকে গ্রামবাসীদের।