হরি ঘোষ, দুর্গাপুর: পারিবারিক বিবাদে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। এক যুবককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার এবং এক ব্যক্তিকে খুন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওয়ার্ড তৃণমূলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। উত্তেজনা দুর্গাপুর থানার ভিড়িঙ্গির গরাইপাড়া এলাকায়। সমিত মন্ডল আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন মহকুমা হাসপাতালে। তৃণমূল নেতার চড়-থাপ্পড় আর ঘুষিতে অল্প বিস্তার আহত হয় দীপক মন্ডল নামের আরো এক ব্যক্তি। পলাতক ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি দীপক গড়াই। দলগতভাবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পরিষ্কার দাবি ব্লকের যুব সভাপতির। তদন্তে পুলিশ।
দীপক মন্ডলের অভিযোগ, "ভাইয়ের সাথে প্রায় জমি নিয়ে বিবাদ চলে। প্রতিদিনের মতো ৬ তারিখ সেই ঝামেলা সাময়িক মিটে যাওয়ার পর ভিরিঙ্গি মোড়ে আমার দোকানে যাই। তখনই ওয়ার্ডের যুব সভাপতি দীপক গড়াই মদ্যপ অবস্থায় আমার ভাই চঞ্চল মন্ডলের স্বপক্ষে আমাকে হুমকি দেয়। তারপরেই চড়-থাপ্পড় থেকে ঘুষি মারে। পরে উইকেট দিয়ে মাথায় আঘাত করতে আসে। সেই দৃশ্য দেখে আমার কাকার ছেলে সমিত মন্ডল আমাকে বাঁচাতে এলে তার ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। কাঠের উইকেট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়। তারপরেও পুলিশকে জানানো হলে থানা থেকে বেরিয়ে আবার হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়। কোনওরকমে সমিতকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। দুর্গাপুর থানায় ওয়ার্ড তৃণমূলের যুব সভাপতি দীপক গড়াইয়ের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি"। সুমিত মন্ডলের অভিযোগ, "আমি শুধু প্রতিবাদ করতে গেছিলাম। তাতেই আমার উপর এরকম হামলা চালানো হল। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল, চড়-থাপ্পড়, ঘুষি মারা হল। আমি চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি"। ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি রাজু সিং বলেন, "এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। আমরা দলগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পুলিশও নিশ্চয়ই কড়া ব্যবস্থা নেবে। এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না"। "এটাই তো হচ্ছে সারা বাংলার কালচার", এমনই কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির মুখপাত্র সুমন্ত মন্ডল বলেন, "১৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের যুব সভাপতি যুবককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল। তারপর থেকে যুব সভাপতি পলাতক। পুলিশকে অন্যান্য ঘটনায় তৎপর হতে দেখা যায় কিন্তু তৃণমূলের কেউ যদি এরকম ঘটনা ঘটায় তখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে আমরা থানা ঘেরাও করাসহ প্রতিবাদে নামব"।