/anm-bengali/media/media_files/2025/07/22/whatsapp-image-2025-07-22-2025-07-22-18-26-31.jpeg)
রাহুল তিওয়ারি, সালানপুর: সালানপুর ব্লকের পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে চলছে অবাক করা কাণ্ড। যক্ষ্মা প্রতিরোধ বিভাগের বৈদ্যুতিক পাখা গত ১৭ জুলাই থেকে নিথর আর তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কর্মী ও রোগীদের। ফলে, হাসপাতালের অন্দরে কাজ চালানোর বদলে, সিনিয়র ট্রিটমেন্ট সুপারভাইজার রক্তিম দে-কে বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে অশ্বত্থ গাছের ছায়ায়। সেখানেই চলছে ওষুধ বিতরণ, রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এমনকি নতুন রোগীর নাম নথিভুক্তকরণ। গরম আর আর্দ্রতার জ্বালায় যক্ষ্মা রোগীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, ঘরে ঢুকতে পারছেন না। রক্তিমবাবুও অসহনীয় পরিবেশে কাজ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি বারবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. বিনয় রায়ের কাছে সমস্যাটি তুলে ধরলেও, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে, খবরের জেরে ২২ জুলাই দুপুর ১২টার সময় পাখা সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাজ্য স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের এক নেতা কটাক্ষ করে বলেন, “উচ্চপদস্থরা এসি-ফ্যানের হাওয়ায় আরামে কাজ করেন, কিন্তু সাধারণ কর্মীদের সমস্যার দিকে ফিরেও তাকান না। এভাবে চললে স্বাস্থ্য পরিষেবা তো বিঘ্নিত হবেই"। পিঠাকিয়ারির এই ‘গাছতলা চিকিৎসা’ যেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর এক তীক্ষ্ণ কটাক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, পাখা সারাতে এত দেরি কেন? গাছের ছায়াই কি এখন হাসপাতালের নতুন ঠিকানা?
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/22/whatsapp-image-2025-07-22-2025-07-22-18-26-17.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us