চাকরি পেতে TMCP করলেই হবে? কসবার পর কাকদ্বীপেও বিস্ফোরক অভিযোগ! নিয়োগ নিয়ে ঘনিয়ে উঠছে বিতর্কের কালো মেঘ!

TMCP করলেই চাকরি পাওয়া যায় কলেজে চাকরি পাওয়া যায় বলে কাকদ্বীপে অভিযোগ উঠেছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
kakdwip college

নিজস্ব সংবাদদাতা: টিএমসিপি করলে কলেজে চাকরি পাওয়া নিশ্চিত? ঠিক এমনই অভিযোগ ঘিরে ফের তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ কলেজে। কসবার পর এবার কাকদ্বীপেও উঠল টিএমসিপি নেতা-কর্মীদের কলেজে নিযুক্ত করার অভিযোগ। বিস্ফোরক এই অভিযোগ এনেছেন কাকদ্বীপ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও এবিভিপি নেতা নিপুণ দাস।

নিপুণের দাবি, ২০২২ সালে কাকদ্বীপ কলেজে সাতজন টিএমসিপি নেতা-কর্মীকে অস্থায়ী পদে নিয়োগ করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, এই নিয়োগকে ঘিরে যখন তিনি সরব হন, তখন ২০২৩ সালে তাঁকে কলেজের ইউনিয়ন রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এমনকী কাকদ্বীপ থানায় অভিযোগ জানালেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ নিপুণের।

kakdwip college a

এই প্রসঙ্গে কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানিয়েছেন, তিনি কলেজে যোগ দেওয়ার আগেই গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্তে ওই সাতজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, কলেজের অধ্যক্ষও সেই দাবিকেই সমর্থন করেছেন। তবে নিয়োগের পদ্ধতি এবং স্বচ্ছতা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের এমনভাবে কলেজে নিয়োগ করা কতটা ন্যায়সংগত, তা নিয়েও উঠছে বিতর্ক। বিরোধীদের দাবি, রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মেধার অবমূল্যায়ন হয়।

এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই ফের প্রশ্ন উঠছে— তৃণমূল পরিচালিত কলেজগুলিতে কি রাজনীতির প্রভাবেই নিয়োগ চলছে? ছাত্র রাজনীতি কি হয়ে উঠছে চাকরির সিঁড়ি? এবং সবচেয়ে বড় প্রশ্ন— এই ‘মনোজিৎ সংস্কৃতি’ কি কাকদ্বীপ, কসবা ছাড়িয়ে আরও অনেক কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে?