চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি টাকার ছক! তমলুকে গ্রুপ ডি কর্মী গ্রেফতার

চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তমলুকে গ্রুপ ডি সরকারি কর্মী শেখ মুঈনুদ্দীন গ্রেফতার। তার ঘর থেকে উদ্ধার ১৫টিরও বেশি অ্যাডমিট কার্ড।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
WhatsApp Image 2025-11-27 at 4.47.44 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা:  সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তমলুকে চাঞ্চল্য ছড়াল বুধবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল তমলুক থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ মুঈনুদ্দীন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জেলা ড্রাগ লাইসেন্স অফিসের গ্রুপ ডি কর্মচারী। বাড়ি উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ এলাকায়। চাকরির সূত্রে তিনি তমলুকে সরকারি আবাসনে থাকতেন।

আগামী ৩০ নভেম্বর পুলিশ বিভাগে ভর্তির লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। এরপর সামনে রয়েছে আরও একাধিক সরকারি চাকরির গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। ঠিক তার আগেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি চাকরি করিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে বহু চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল শেখ মুঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে। গোপনে সেই টাকা আদায় করা হতো বলেও অভিযোগ।

arrested a

বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সকালে পুলিশ অভিযুক্তের সরকারি আবাসনে হানা দেয়। তল্লাশি চালিয়ে তার ঘর থেকে একাধিক পরীক্ষার ১৫টিরও বেশি অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার এই সমস্ত নথি দেখে পুলিশের সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। সেই মুহূর্তেই শেখ মুঈনুদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ দুপুর দুটো নাগাদ ধৃতকে তমলুক আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে। ধৃতকে জেরা করে পুরো নেটওয়ার্কের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

চাকরির মরিয়া চেষ্টা করা বহু যুবক-যুবতীর স্বপ্নকে পুঁজি করে কীভাবে এই টাকা তোলার চক্র চলছিল, তা জানতেই এখন গোটা তদন্ত এগোচ্ছে। অ্যাডমিট কার্ডগুলো কীভাবে সংগ্রহ করা হল, আদৌ পরীক্ষায় বসানো হত কি না, কারা টাকা দিয়েছিলেন—এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ঘটনায় তমলুক জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।