শ্যামা পুজোর থিম:‘মানুষ ও হাতি উভয়ে থাকুক সুরক্ষিত’

উদ্যোক্তাদের আশা মানুষের মনেও ব্যাপক ছাপ ফেলবে পুজোর এই থিম।

author-image
Debjit Biswas
New Update
WhatsApp Image 2025-10-19 at 5.59.57 PM (1)

kkkkk

নিজস্ব সংবাদদাতা : ঝাড়গ্রাম জেলার কুন্ডলডিহি পুকুরিয়া ইউনাইটেড ক্লাবের সর্বজনীন শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা এবছর পদার্পণ করেছে ৫৭ তম বর্ষে। আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার বাজেটে সাজছে এবারের পূজোর মণ্ডপ। এবছরের থিম অত্যন্ত ব্যতিক্রমী — “মানুষ ও হাতি উভয়ে থাকুক সুরক্ষিত”। গত ১৮ জুলাই ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা এলাকায় ঘটে যায় এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। একদল হাতি টাটা–খড়গপুর রেলপথ পার হওয়ার সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ডাউন হাওড়া-বারবিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনটি হাতির, যার মধ্যে একটি শাবকও ছিল। সেই মর্মান্তিক দৃশ্য এখনও ভুলতে পারেননি বাঁশতলা ও আশপাশের বাসিন্দারা। সেই ঘটনাকেই থিম হিসেবে তুলে ধরেছে পুকুরিয়া ইউনাইটেড ক্লাব। ক্লাবের সম্পাদক জানিয়েছেন, “এই থিমের মাধ্যমে আমরা মানুষকে সচেতন করতে চাই। যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে। মানুষ ও হাতি — দু’জনেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক, এটাই আমাদের বার্তা।”

digbijay da add

ক্লাবের আরেক সদস্য বলেন, “প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে হাতিরা গিধনী রেঞ্জ হয়ে ডুলুঙ নদী পার হয়ে জামবনি ও ঝাড়গ্রাম রেঞ্জ পেরিয়ে পুকুরিয়া বিটে প্রবেশ করে। প্রায় সারা বছরই হাতির উপদ্রবে আতঙ্কে কাটান গ্রামবাসীরা। কখনও দলছুট হাতি খাদ্যের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি করে, আবার কখনও ঘটে প্রাণহানি। তাই আমরা চাই, মানুষ যেন তাদের গতিপথে বাধা না দেয়, কিংবা ভিডিও তোলার জন্য হাতির কাছে না যায়।” পূজোকে কেন্দ্র করে আশপাশের ৮–১০টি গ্রামের মানুষ, আত্মীয়স্বজন, ছোট-বড় সবাই মিলেমিশে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠছেন। মণ্ডপের থিম তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন জামবনি ব্লকের মুনিয়াদা গ্রামের শিল্পী হরিশংকর মাহাত। পুজো কমিটির উদ্যোগতা জানান, “এবারের মণ্ডপে থাকবে জন শতাব্দী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের প্রতিরূপ এবং পাঁচটি হাতির মডেল। ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ও কৃত্রিম শালগাছ। প্রতি বছরই আমরা সাম্প্রতিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে বার্তামূলক থিম তৈরি করি, যাতে সমাজে সচেতনতা বাড়ে।” পুকুরিয়া ইউনাইটেড ক্লাবের এই উদ্যোগে ঝাড়গ্রামবাসী যেমন গর্বিত, তেমনি প্রত্যাশা এই বার্তা মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলবে এবং ভবিষ্যতে মানুষ ও বন্যপ্রাণী উভয়েই নিরাপদে সহাবস্থান করতে পারবে।