নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পশ্চিমবঙ্গে শহুরে ও গ্রামীণ এলাকার বৃষ্টিপাতের ধরণে স্পষ্ট পার্থক্য লক্ষণীয়। শহুরে অঞ্চলে তাপদ্বীপ প্রভাবের কারণে বৃষ্টিপাত বেশি তীব্র হয়, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং বৃষ্টিপাতের ধরণ পরিবর্তিত হয়। এই ঘটনার ফলে শহরগুলিতে গ্রামীণ এলাকার তুলনায় বৃষ্টিপাত বেশি ঘন ঘন এবং তীব্র হয়।
গ্রামীণ এলাকায়, বেশি গাছপালা এবং খোলা জায়গা থাকায়, সাধারণত বৃষ্টিপাত কম তীব্র হয়। প্রাকৃতিক পরিবেশ জল শোষণে সহায়তা করে, বন্যা ঝুঁকি কমিয়ে। বিপরীতে, কংক্রিটের পৃষ্ঠতল দিয়ে পরিবেষ্টিত শহুরে পরিবেশে জল শোষণে সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে জলের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং সম্ভাব্য বন্যা ঝুঁকি তৈরি হয়।
সম্প্রতি পরিচালিত গবেষণার তথ্য এই পার্থক্যগুলিকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। শহুরে এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেশি ছিল, যখন গ্রামীণ এলাকায় ধীরগতিতে কিন্তু কম তীব্রতাযুক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৈচিত্র্য উভয় প্রেক্ষাপটেই জল ব্যবস্থাপনা কৌশলগুলিকে প্রভাবিত করে।
এই সকল সনাক্তকরণের মাধ্যমে উপযুক্ত অবকাঠামো সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়। শহুরে পরিকল্পনা প্রণেতাগণ বন্যা ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সবুজ স্থান এবং দক্ষ জল নিকাশ ব্যবস্থার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। অন্যদিকে, গ্রামীণ এলাকায় জল ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য টেকসই কৃষি পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।