/anm-bengali/media/media_files/2025/07/20/screenshot-2025-07-20-pm-2025-07-20-13-49-36.png)
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঘাটাল: ঘাটাল কলেজে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ছাত্রবিক্ষোভ, কলেজের অভ্যন্তরিন সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ তৃণমূলের জেলা সভাপতির।জেলা সভাপতির ডাকা বৈঠকে উপস্থিত কলেজের প্রিন্সিপাল, যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রাজনৈতিক বৈঠকে প্রিন্সিপালের উপস্থিতি নিয়ে জেলা সভাপতির বিস্ফোরক দাবি। "প্রিন্সিপাল তাদের রাজনৈতিক দল করেন, তাদের মঞ্চ শেয়ার করেন। প্রিন্সিপাল হিসাবে নয়, একজন দলের কর্মী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল", দাবি জেলা সভাপতির।
প্রিন্সিপালের ঘরে তালা লাগিয়ে পদত্যাগ চেয়ে ছাত্রবিক্ষোভে উত্তাল হয় ঘাটাল কলেজ। ছাত্র বিক্ষোভ মেটাতে বৈঠক তৃণমূলের জেলা সভাপতির, জেলা সভাপতির বৈঠকে উপস্থিত কলেজের প্রিন্সিপাল ও বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা। আর এই বৈঠককে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কলেজের অভ্যন্তরিন সমস্যা নিয়ে কেনো হস্তক্ষেপ করবে শাসকদলের জেলা সভাপতি? জেলা সভাপতির বৈঠকে প্রিন্সিপালের উপস্থিতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কলেজের সমস্যা সমাধানে তৃণমূলের জেলা সভাপতির প্রিন্সিপাল ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বৈঠক নিয়ে সরব বিজেপি। শুধু ঘাটাল কলেজ নয়, রাজ্য জুড়ে এভাবেই শাসকদল কলেজগুলিতে অনৈতিকভাবে নিজেদের আধিপত্য রেখে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করছে দাবি বিজেপির।
/anm-bengali/media/post_attachments/747139bf-115.png)
এবিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল কিছু না বললেও, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি ক্যামেরায় বৈঠকে প্রিন্সিপালের উপস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। জেলা সভাপতির বক্তব্য, "বৈঠকটি পলিটিক্যাল ছিল, যেহেতু কলেজের প্রিন্সিপাল আমাদের রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত আমাদের মঞ্চ শেয়ার করেন তাই এই পলিটিক্যাল মিটিংয়ে ওনাকেও ডেকেছিলাম, প্রিন্সিপাল হিসাবে নয় একজন পার্টিওয়ার্কার হিসাবে।'কলেজের সমস্যা মেটাতে জেলা সভাপতির বৈঠক সেখানে বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রী, গভর্নিং বডির সদস্য থেকে ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকলেও ঘাটাল শহরের একটি গেস্ট হাউসে এহেন বৈঠকে প্রিন্সিপালের উপস্থিতি নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ঘাটাল শহরে একটি গেস্ট হাউসে ঘাটাল কলেজে শুক্রবারের ছাত্রবিক্ষোভ নিয়ে আলোচনা ও সমস্যা মেটাতে বৈঠক করেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি ছাড়াও বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রী, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল মন্টু কুমার দাস।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ছাত্রবিক্ষোভে উত্তাল হয় ঘাটাল কলেজ। হাতে প্লাকার্ড, ব্যানার নিয়ে কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরে তালা লাগিয়ে বাইরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। যার জেরে নিজের রুমে না ঢুকতে পেরে রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় প্রিন্সিপালকে। একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা।অভিযোগ ছিল, ছাত্রছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া, নিয়মিত ক্লাস না হওয়া ,দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের ছাড় না দেওয়া এবং কয়েকবছর কলেজে বন্ধ নবীনবরণ উৎসব। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রবিক্ষোভে উত্তাল হয় ঘাটাল কলেজ। কলেজে ছাত্র বিক্ষোভে বহিরাগত যোগ ছিল এবং কোনো শক্তি ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে ওইসব করিয়েছিল বলে দাবি করেন প্রিন্সিপাল মন্টু কুমার দাস। প্রশ্ন উঠছে,বহিরাগতদের উস্কানিতে কলেজে ছাত্রবিক্ষোভ কি আড়ালে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল? কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতি ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আর দেবের সাথে ঘাটালে তৃণমুলের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের দ্বন্দ্ব অজানা নয়। কলেজের অভ্যন্তরিন সমস্যা মেটাতে তৃণমূলের জেলা সভাপতির বৈঠক সেই জল্পনাও উস্কে দিচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ দাবিদাওয়া নিয়ে গভর্নিং বডি বা প্রিন্সিপাল ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বসে সমস্যা সমাধান না করে শাসকদলের জেলা সভাপতির সমস্যা মেটাতে বৈঠক আর সেখানে প্রিন্সিপালের উপস্থিতি নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।কসবায় আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পর শাসকদলের ছাত্র সংগঠনকে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। কলেজের অভ্যন্তরিন সমস্যা মেটাতে তৃণমূলের জেলা সভাপতির বৈঠক ও প্রিন্সিপালের উপস্থিতি ঘিরে শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us