নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকা শুরু হয়েছে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যেই বাড়ির কাজ শুরু করে দিয়েছেন বেশ কিছু উপভোক্তা। তবে বাড়ির কাজ শুরু হতেই জিনিসপত্রের দাম নিয়ে চরম বিপাকে উপভোক্তরা। তারা বলছেন, ' বাড়ি তৈরীর জন্য বালি, ইটসহ যে সমস্ত ইমারতি সামগ্রীর প্রয়োজন, তার দাম এতো বেশি যে সরকারের দেওয়া মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় কি করে তারা বাড়ি নির্মাণ করবেন, তা ভেবেই কুল পাচ্ছে না। ' এই নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।
![](https://img-cdn.thepublive.com/filters:format(webp)/anm-bengali/media/post_attachments/a99f267e-b9c.png)
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কিছু উপভোক্তা ইতিমধ্যে বিডিওর কাছে দাবি জানিয়েছেন বালিসহ ইটের দাম কমানোর ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১ লক্ষ ১ হাজার ৮২২ জন উপভোক্তার নাম রয়েছে এই তালিকায়। তাদের মধ্যে ৮৮ হাজার ১১৩ জন প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন চলতি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত। এর মধ্যে চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকেই ৩ হাজার ৭৮৮ জন উপভোক্তার মধ্যে ৩ হাজার ৫৬০ জন টাকা পেয়েছেন। টাকা পেতেই ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কিভাবে তারা বাড়ি নির্মাণ করবেন, কত দিনের মধ্যে বাড়ির কাজ শেষ করতে হবে। বাড়ি না করলে প্রশাসন আইনত ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে।
![](https://img-cdn.thepublive.com/filters:format(webp)/anm-bengali/media/post_attachments/e44b3462-0ac.png)
এই বাড়ির জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে পাবে দরিদ্র উপভোক্তরা। সেই বাড়ির কাজ করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন উপভোক্তারা। তাদের দাবি এক ট্রাক্টর বালি কিনতে খরচা হচ্ছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। শুধু তাই নয় ১০-১২ হাজার টাকা দামে কিনতে হচ্ছে ইট তারপরে তো রয়েছে রড, সিমেন্টসহ রাজমিস্ত্রির ও অন্যান্য খরচ।
![](https://img-cdn.thepublive.com/filters:format(webp)/anm-bengali/media/post_attachments/f53f5bfa-a7a.png)
বাংলার বাড়ি পাওয়া দরিদ্র উপভোক্তাদের দাবি, বাড়ি তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের দামের উপর নজরদারি করুক প্রশাসন। জানা যায় এই বাড়ি তৈরীতে লাগবে ৩ থেকে ৪ ট্রাক্টর বালি, ইট ২ হাজার তার উপরে রয়েছে রড, সিমেন্ট সহ অন্য খরচ। চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেন, " দ্রুত ব্যবসায়ীদের নিয়ে তারা একটি মিটিং করবেন, যাতে বাংলার বাড়ি তৈরি করার জন্য উপভোক্তারা সঠিক মূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পায়। "