/anm-bengali/media/media_files/2025/07/29/whatsapp-image-2025-07-29-2025-07-29-15-17-35.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের নয়া গ্রাম- নামটি শুনলেই মনে পড়ে পটচিত্র শিল্পের কথা। এক সময় শুধুমাত্র স্থানীয় মেলা আর গ্রামবাংলার পটের গানে সীমাবদ্ধ ছিল এই শিল্প, আজ তা পৌঁছে গেছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে। এই শিল্পের অন্যতম প্রতিনিধি খ্যাতনামা পটশিল্পী আনোয়ার চিত্রকর। তাঁর হাত ধরে পিংলার ঐতিহ্য শুধু রাজ্যের গর্ব নয়, এখন তা ভারতেরও পরিচিতি বহন করছে বিশ্বের দরবারে।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লিতে আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য পট শিল্পীদের তৈরি করা পটচিত্রের মাধ্যমে ভারতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য ভাষ্য তুলে ধরেন আনোয়ার চিত্রকর। এছাড়াও তাঁর সাথে ১০জন পট শিল্পী ছিলেন। সবার তুলিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মাটির সংস্কৃতি, গ্রামীণ জনজীবন, এবং জাতীয় ঐক্যের গল্প। শুধু শিল্প নয়, সেখানে ছিল গান, কাহিনি, এবং সমাজচেতনার মেলবন্ধন- ঠিক যেমন হয় একটি পটচিত্রে।
এই অসাধারণ কীর্তির জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু নিজের হাতে আনোয়ার চিত্রকরকে সম্মানিত করেন ও অভিনন্দনের বার্তা দেন। বাংলার এক লোকশিল্পী রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া নিঃসন্দেহে বাংলার পটশিল্প ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন।
পট শিল্পী আনোয়ার চিত্রকর তাঁর অঙ্কিত একটি বিশেষ চিত্র ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়েছেন। আনোয়ার চিত্রকর বলেন,"আমি ছোটবেলা থেকে পট আঁকছি। এই পটচিত্র শুধু ছবি নয়, আমাদের গল্প, ইতিহাস, গান আর সংস্কৃতির ধারক। দিল্লিতে গিয়ে দেশের সামনে তা তুলে ধরতে পারাটা আমার কাছে গর্বের। পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খন্ড ও উড়িষ্যা রাজ্যের প্রায় ২৮ জন শিল্পীরা দেশের রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁদের নিপুন শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলেন। আমার সাথে আরও ১০জন শিল্পীরা ছিলেন। রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা পেয়ে সত্যিই আমি আবেগে আপ্লুত। এই সম্মান আমার একার নয়, আমাদের গোটা নয়া গ্রামের সমস্ত পটশিল্পীদের"।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/26/whatsapp-image-2025-07-26-2025-07-26-22-01-32.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us