/anm-bengali/media/media_files/2025/07/03/whatsapp-image-2025-07-03-at-2025-07-03-21-41-31.jpeg)
পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ১৫ অর্থ কমিশণের টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর। জানা গিয়েছে , এই জেলায় ২১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি টাকা খরচ করেছে ২০২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন , চলতি অর্থ বছরে ওপেনিং ব্যালেন্স ও প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ ছিল ৬০ কোটি টাকার বেশি। তারমধ্যে খরচ করা হয়েছে প্রায় ৫৫ কোটি ১৪ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। শতাংশের বিচারে এই পরিমাণ দাঁড়ায় ৯১.৬৪ শতাংশে, যা খরচ করেছে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা, পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থার প্রচুর কাজ হয়েছে। এতে খুশি সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সোলার লাইট লাগানো হচ্ছে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের তরফেও প্রচুর কাজ হচ্ছে। জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, "জেলার বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত ভালো কাজ করেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে কাজের নিরিখে আমরা রাজ্যের মধ্যে প্রথম। তবে কাজের গতি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের মনিটরিং করা হচ্ছে"।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, "চলতি অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্য জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করা। তবে বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত কাজের নিরিখে পিছিয়ে রয়েছে। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফে পুরসভা এলাকার পাশাপাশি পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলার প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকা ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমত জেলা প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরফলে গ্রামীণ এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। বহু এলাকায় পানীয় জল, নিকাশি নালা, শৌচাগারের সমস্যার সমাধান হয়েছে। মেদিনীপুরে একদিকে যেমন জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের রূপায়ণ করছে, তেমন পিছিয়ে নেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোর কাজের ধরণ। তার অন্যতম কারণ, গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে কাজের পরিমাণও বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। গত দু - তিনবছরে মধ্যে শুধু ১৫ অর্থ কমিশনের একশো কোটি টাকার বেশি খরচ করে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছে জেলা পরিষদ। একশোর বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত বেশিরভাগ টাকা খরচ করেছে। এরফলে উপকৃত হচ্ছেন মেদিনীপুর জেলার কয়েক হাজার গ্রামের মানুষ। জানা গিয়েছে, কেশপুর , শালবনী, গড়বেতা ছাড়াও ঘাটাল ও খড়গপুর মহকুমার একাধিক ব্লকের একাশোর বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত ৯০ শতাংশের বেশি টাকা খরচ করতে পেরেছে। জেলা পরিষদের দলনেতা মহম্মদ রফিক বলেন, "জনপ্রতিনিধিরাও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজের তদারকি করেছেন। এরফলে কাজ নিয়েও মানুষ সন্তুষ্ট। কোনও এলাকার সমস্যা শুনলেই প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিন কেশপুর এলাকার বাসিন্দা স্বপন মণ্ডল বলেন, "আগে গ্রামের রাস্তায় শুধু মাটি দেখত। এখন পাকা রাস্তা করে দিয়েছে প্রশাসন। আগে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কাজই হতো না। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে"।