/anm-bengali/media/media_files/Kv76AOgMxyHMurxnBTul.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ আরজি করে ঘটে যাওয়া অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে ৪২ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে এসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনেও দিনের পর দিন রাস্তায় বসে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তারা। সেই সময় সাধারণ মানুষজন এগিয়ে এসেছিলেন তাদের সমর্থনে। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তারাও। কেউ ওই ধর্ণা মঞ্চে বসে গলা মিলিয়েছেন প্রতিবাদী স্লোগানে, কেউ আবার খাদ্য সামগ্রী, জল, ত্রিপল দিয়ে সমর্থন জানিয়েছিলেন। সেই খাদ্য সামগ্রী অনেকটাই বেঁচে গিয়েছিল। তার সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেরা টাকা দিয়ে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে গেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরে। বন্যায় প্লাবিত লোকজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করেন তারা। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের নাম ছিল 'অভয়া ক্লিনিক'।
/anm-bengali/media/post_attachments/273751825fabfe59fc9e362f2a0b4e3198b39f1eb01070a8e1114ba4d9c6f2a8.jpg)
আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা যৌথভাবে ঔষধ ও ত্রাণের সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্লাবিত কেশপুরের টাবাগেড়িয়া ও কানাখালী এলাকায়। সারাদিন মেডিকেল ক্যাম্প করে আগত লোকজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দিলেন তারা। তুলে দেওয়া হয় ত্রাণের সামগ্রীও। অন্যদিকে প্লাবিত ঘাটালে কুড়িটি মেডিকেল ক্যাম্প চালু করেছে জেলা প্রশাসন। ক্যাম্পগুলিতে পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে কিনা ঘুরে দেখলেন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার।
/anm-bengali/media/post_attachments/f764d3a8a2e9bcc3c8c461ff11ede0fbf7ed586c7978f4bd7371437a48bbe0d6.webp)
জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে দত্তশা গুপ্ত বলেন, "আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের যৌথ উদ্যোগে এই শিবির করা হয়েছে। প্লাবিত এলাকার লোকজনদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। ঔষধ দেওয়া হচ্ছে যথা সম্ভব। সেই সঙ্গে ত্রাণ সামগ্রী আমরা যা এনেছিলাম তা গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দিয়েছি।" স্থানীয় বাসিন্দা রাজেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, " এমনিতেই বন্যার পরবর্তীকালে অনেকেরই আমাদের স্বাস্থ্য সমস্যা হয়েছে। পেটের সমস্যা থেকে ঠান্ডা লেগে যাওয়া সব দেখা দিয়েছে। তাই ঔষধ আনতে এসেছিলাম। চিকিৎসাও পেয়েছি, ত্রাণের সামগ্রীও পেলাম। "
/anm-bengali/media/post_attachments/f3b9211d21b17c92a8e8af0a00930e00b3af34b3c8658e4716f2df4c5efe6f12.jpg)
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মীরা দলুই বলেন, " অঞ্চল প্রধানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য। আমরা এসেছি। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করিয়েছি। বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছেন এখানে। " জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আরজিকর থেকে এসেছিলেন নার্সিং স্টাফ সুচিস্মিতা মজুমদার। তিনি বলেন, " গত ৪২ দিন ধরে আমরা যে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়েছি তাতে দুহাত তুলে মানুষ সমর্থন জানিয়েছিলেন। মানুষের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ফলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই আমরা এখানে এসেছি। বন্যার ফলে জ্বর, সর্দি, ডায়েরিয়া সহ নানা ধরনের রোগ লক্ষ্য করা যায়। আমরা চেষ্টা করেছি মানুষজনের প্রাথমিক চিকিৎসা করার। ওআরএস, জল, ওষুধ দেওয়া হয়েছে এবং মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হয়েছে। আমরা মানুষজনকে বলেছি অভয়ার বিচার না হওয়া পর্যন্ত উনারা যেন হাল না ছাড়েন এবং আমাদেরও যেন হাল ছাড়তে না দেন। "
/anm-bengali/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/Bangladesh-Flood.jpg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us