হাওড়ার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু শ্রমিকের

হাওড়ার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Fire

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশাল থার্মোকল কারখানায় বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। মৃতের নাম আকাশ হাজরা। শনিবার বিকেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত আলমপুর এলাকায়। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল।

পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আলমপুর মোড়ের কাছে অবস্থিত ওই থার্মোকল কারখানায় প্রতিদিনের মতো কাজ চলছিল। দুপুর ৩টে নাগাদ আচমকাই কারখানার ভিতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা কারখানায়। কর্মীরা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে এলেও ভিতরে আটকে পড়েন একজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী।

দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চালায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে কারখানার বিভিন্ন জায়গায় এখনও পকেট ফায়ার দেখা গিয়েছে বলে জানায় দমকল।

পরে দমকলকর্মীরা কারখানার ভিতর ঢুকে এক যুবকের ঝলসানো দেহ উদ্ধার করেন। মৃতের নাম আকাশ হাজরা বলে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, আগুনে পুড়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

howrah fire

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও দমকল জানায়, থার্মোকল কারখানা হওয়ায় ভিতরে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। তার জেরেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, চারপাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এবং লেলিহান শিখা বহু দূর থেকেও দেখা গিয়েছে।

তবে কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শর্ট সার্কিট, নাকি অন্য কোনও গাফিলতি—সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দমকলের এক আধিকারিক জানান, "কারখানার অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হবে।" সাঁকরাইল থানার পুলিশ জানিয়েছে, কারখানায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনায় ফের একবার শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।