শালবনীতে জোড়া দুর্ঘটনায় মৃত এক, আহত ১৫

শালবনীতে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু, ১৫ জন আহত। ভাদুতলা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের দুর্ঘটনা ও বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় আহত ১৩।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Accident

নিজস্ব সংবাদদাতা : শালবনীতে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের, আহত হয়েছেন ১৫ জন। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভাদুতলা এলাকায়। জানা গেছে, শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স রোগী ছেড়ে ফিরছিল। অ্যাম্বুলেন্সটিতে তিনজন ছিলেন। দুর্ঘটনাটি ঘটলে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পেছনে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আহতদের উদ্ধার করে শালবনী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা চালকের পাশে বসে থাকা যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত চালককে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে, আরেক যুবক শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত যুবকটির নাম সুশান্ত ভুঁইয়া, তিনি শালবনীর চকতারিণী এলাকার বাসিন্দা।

Accident

অন্যদিকে, লালগড় থেকে যাত্রী নিয়ে মেদিনীপুরের দিকে আসা একটি বেসরকারি বাস বেপরোয়া গতিতে চলছিল। ভাদুতলা রেলওয়ে ক্রসিংয়ের রেলগেট পড়তে দেখে সামনে থাকা মারুতি ভ্যানসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বেপরোয়া বাসের চালক দ্রুতগতিতে এগিয়ে এসে মারুতির পেছনে ধাক্কা মারে। এরপরও বাসটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে রেল ক্রসিংয়ের পিলারে ধাক্কা মারে। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ এই দুর্ঘটনায় ভাদুতলায় চরম বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনায় দুটি গাড়িতে থাকা ১৩ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হন। স্থানীয় পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।

Accident

ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মারুতি গাড়িতে থাকা এক ছাত্রও আহত হন, তিনি মেদিনীপুরে একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আসছিলেন। বাসের যাত্রীরা বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাসযাত্রী অজিত নন্দী জানান, "বাসটি খুব দ্রুতগতিতে আসছিল, যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাসের ভেতরেও অনেকেই আহত হয়েছেন, আমার মাথায় চোট লেগেছে।" এই দুটি দুর্ঘটনা শালবনীতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং পুলিশ ঘটনাগুলোর তদন্ত শুরু করেছে।