নিজস্ব সংবাদদাতা: দশ দফা দাবি তার মধ্যে অন্যতম তিলোত্তমার ন্যায় বিচার এবং বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করণ। তার জন্য আবারো লড়াইয়ে বসেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যেই আবারো হুমকির মুখে চিকিৎসক এবং নার্সরা। হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে।
সাগর দত্তের পর এবার ঘটনাস্থল মালদহের রটুয়া ১ নম্বর ব্লক হাসপাতাল! হাসপাতাল সূত্রে খবর আঙুল কেটে যাওয়ায় এক ব্যক্তি হাসপাতালে গিয়েছিলেন! সেই সময় হাসপাতালে সুতো না থাকায় রোগীর পরিবারকে সুতো কিনে নিয়ে আসতে বলা হয়! তারা কিনে আনলে তবে আঙ্গুলের ক্ষত সেলাই করা হয়! পরে রোগীর পরিবার এবং এলাকার কয়েকজন লোক দল বেঁধে অসংলগ্ন অবস্থায় চিকিৎসকদের হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ!
টেবিল চাপড়ে অশ্লীল ভাষায় হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ! এমনকি হাসপাতালে ভাঙচুর করা হয়! বাধ্য হয়ে থানায় জানালে পুলিশ এসে গোটা বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে।
কর্তব্যরত চিকিৎসকদের দাবি, “পুরো বিষয়টিতে সমস্ত কিছু আমাদের কাছে থাকলেও সেলাইয়ের সময় যে সুতোর প্রয়োজন তা ছিল না। ওরা কিনে আনে তারপর সেলাই করা হয়। যখন পুরো কর্মকাণ্ড শেষ হয়েছে তখন ওই রোগীর পরিবারের লোক অভিযোগ করেন কেন সুতো কিনে আনা হবে? কেন হাসপাতালে সুতো নেই!”
যারা হাসপাতাল এসেছিলেন প্রত্যেকে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে তাই শংকিত রয়েছেন তারা বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর থেকেই একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কর্মরত চিকিৎসকদের বারবার হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে কেন? পুলিশি প্রহরা থাকলেও কিভাবে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ছেন হাসপাতালে? আবার কি তিলোত্তমা কান্ড ঘটা সময়ের অপেক্ষা?