নিজস্ব সংবাদদাতা: বর্তমানে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বরং, পরবর্তী কয়েক দিনে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, সাধারণভাবে বৃষ্টির পরিমাণ হ্রাস পাবে এবং এতে জলবায়ু কিছুটা শিথিল হতে পারে। তবে, সোমবার থেকে আবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এই সময়ের জন্য প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন। এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলির তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। গরমের মধ্যেই ঠাণ্ডা আবহাওয়ার অনুভূতি পাবেন এই এলাকার বাসিন্দারা।
ভিন রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মধ্য মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, ইয়ানাম, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, কেরল, মাহে, ওড়িশা, কোঙ্কন, গোয়া, গুজরাট, অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে। এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির ফলে আঞ্চলিক জলাবদ্ধতা, ভূমিধস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। এর জেরে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। প্রশাসন এইজন্য জরুরি সব ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে প্রশাসন। যেসব জায়গায় ভূমিধস, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা আছে সেইসব জায়গার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর বৃষ্টির প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রার উপর প্রভাব পড়ার কথা উল্লেখ করেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে সড়ক, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সাধারণ জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগজনক। এ জন্য জরুরি সেবা, সেফটি ব্যবস্থা এবং পরিবহন ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে অব্যাহত নিরাপত্তা ও জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রদায়গত সাড়াদানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের জন্য একটি জরুরি তথ্য লাইন চালু করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস বা পরিস্থিতি সম্পর্কে দ্রুত আপডেট পেতে জনগণকে এই লাইনটি ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে সচেতন রাখতে এবং বিপর্যয়কালীন ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালিত হবে। তবে ৩-৫ দিনের মধ্যেই এই আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।