উত্তরবঙ্গের ভূমিধসের জন্যে দায়ী ভুটান, স্পষ্ট দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

এলাকা ঘুরে দেখবেন এবং পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
mamata

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে বিপর্যয় বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখানে মোট পাঁচদিন থাকার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং-সহ একাধিক এলাকা ঘুরে দেখবেন এবং পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি।

সোমবার সকালে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি মোতাবেক জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একটি ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গত পরিবারের হাতে ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তিনি। বিপর্যয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে তিনি ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র (হোমগার্ড) তুলে দেন। মোট ১০টি পরিবারের হাতে চাকরির চিঠি ও ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

এদিন শিবিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জল একটু নামলেই বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। যাদের কৃষিজমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাঁদের সরকার বিমা দেবে। কোনও খরচ আপনাদের লাগবে না, রাজ্য সরকারই সব করবে। যাদের কাগজপত্র হারিয়েছে, তাঁরা শিবিরে এসে জানালে ডুপ্লিকেট তৈরি করে দেওয়া হবে। কারও গরু বা ছাগল হারালে তাও ফেরত পাবেন”।

mamata

ভূমিধস-বন্যার কারণ হিসেবে এদিনও ভুটানের জলকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভুটানের জলে এত বড় ক্ষতি হয়েছে। আমরা বহুবার বলেছি ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন তৈরি করতে, যাতে বাংলাও সদস্য হয়। আমাদের চাপে আগামী ১৬ তারিখ বৈঠক হচ্ছে শুনলাম। আমরা আমাদের একজন অফিসার পাঠাব”।

শুধু কমিশন নয়, এবার ভুটানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “মনে রাখতে হবে, ভুটানের জলে এই বিপর্যয়। আমরা চাই ওরা ক্ষতিপূরণ দিক। সবটাই তো আমাদের করতে হয়, দিল্লি এক পয়সাও দেয় না”। 

এদিন ত্রাণ শিবির থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী দুর্গত শিশুদের হাতে খেলনা ও মিষ্টি তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আপ্লুত উত্তরবঙ্গের মানুষ। বিপর্যয়ের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন, তবে পুনর্গঠনের লড়াই এখনও বাকি।