/anm-bengali/media/media_files/2025/10/20/whatsapp-image-2025-10-20-2025-10-20-14-21-53.jpeg)
হরি ঘোষ, জামুড়িয়া : উমা মায়ের বিদায়ের পর বঙ্গে শুরু শ্যামা মায়ের আগমনের তোরজোড়। আরো একবার উৎসব প্রিয় বাঙালি জাতি আজ মেতে উঠবে দীপাবলীর আনন্দে।
তবে দীপাবলির প্রাক্কালে এমন এক মন্দিরের খোঁজ পাবেন যেখানে প্রতিমা নয়, অমাবস্যার রাতে শুধুমাত্র পাষাণ রূপে মা কালীর পূজা হয়। পাষাণরূপী মায়ের আরাধনায় একটি রাত আনন্দ উল্লাসে কাটে গ্রামের মানুষের।
জামুড়িয়া বিধানসভার অন্তর্গত শ্যামলা অঞ্চলের ফরফরি গ্ৰামে মূলত কৃষিকাজকে কেন্দ্র করে মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এই গ্রামের মানুষজন আর্থিকভাবে উন্নত না হলেও পুজো-পার্বণ এলে সকলে একত্রে মিলেমিশে আনন্দে মেতে ওঠে।
কয়েকদিন আগে দুর্গোৎসব পেরিয়েছে, আর এবার কালীপুজো এসে গেল। এই ফরফরি গ্রামে রয়েছে একটি পাষাণ কালীর মন্দির যেখানে বহু যুগ ধরে কয়েকটি শিলাখণ্ডকেই গ্রামবাসীরা পাষাণরূপী কালী মেনে পুজো করেন। গ্রামবাসীরা জানায় তাদের পূর্বপুরুষদের আমল থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। প্রায় দেড়শ বছরের অধিক প্রাচীন এই কালীপুজো। গ্রামবাসীর কথায়, "আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে শুনেছি অমাবস্যার রাতে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে বাড়ি আনা হয় এবং রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠান ও বলিদানের মধ্য দিয়ে তিন থেকে চার ঘন্টাব্যাপী পুজো হয় কালী মায়ের। পুজো শেষে রাতেই মায়ের বাড়ি বিসর্জন হয়ে যায়। প্রাচীন সেই প্রথা আজও ধরে রেখেছে গ্রামের মানুষ।
এছাড়া আরও জানা যায়, ফরফরি গ্রামের এই পাষাণরূপী কালী মায়ের মন্দিরটি খোলা আকাশের নিচেই রয়েছে। আজও পর্যন্ত মন্দিরে কোনওরকম কোনও ছাউনির ব্যবস্থা নেই। এই বিষয়ে গ্রামবাসীরা জানায় যে তারা তাদের পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে শুনেছে, মায়ের নির্দেশ এখানে মা কোনওরকম কোনও ছাউনি নেবেন না, খোলা আকাশের নিচে এভাবেই যুগ যুগ ধরে মা তাদের মাঝে বিরাজ করছেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/xUVZIT8QjncKLwns1qkW.jpg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us