/anm-bengali/media/media_files/2025/10/20/whatsapp-image-2025-10-20-2025-10-20-14-26-52.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, দিঘা: দিঘার লাগোয়া পূর্ব মুকুন্দপুর গ্রামে রয়েছে বিখ্যাত নায়েকালী মাতার মন্দির। প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো এই মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত। কথিত আছে, দেবীর কাছে যাঁরাই আসেন, তাঁদেরই মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, এই মন্দির অন্যতম সিদ্ধপীঠ। একসময় এই অঞ্চল ছিল জঙ্গলে ভরা। তখনও কিন্তু দেবী নায়েকালীই ছিলেন আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের লোকেদের ভরসার কেন্দ্র। তাঁদের নানা বাসনা পূরণের কর্ত্রী ছিলেন দেবী নায়েকালী।
'নায়েকালী’ অর্থাৎ নৌকার উপর মা কালীর অধিষ্ঠান। এই মন্দিরে ছোট নৌকার উপর পাথরের কালীমূর্তি রয়েছে। নায়েকালী মন্দিরে সিংহবাহিনী দুর্গাপ্রতিমাও রয়েছে। তাই এখানে দুর্গা ও কালী একসঙ্গে পূজিত হন। দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজো করা হয়। তবে নায়েকালীর বার্ষিক বড় পুজো দোলপূর্ণিমার সময় হয়।
কথিত আছে দেবীর মন্দিরের চারপাশের ঙ্গল পেরোতেই দেখতে পাওয়া যেত পুকুরের মত বিরাট খালের। শুনতে অদ্ভুত হলেও, এর চারপাশে থাকত নোনা জল। মন্দিরের কাছাকাছি অঞ্চলটা থাকত মিষ্টি জলে পরিপূর্ণ। সেই সময় দূর-দূরান্ত থেকে বাসিন্দারা নৌকো করে জল বেয়ে পৌঁছতেন মন্দিরের কাছাকাছি। এখনও মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মৎস্য শিকারের আগে এই মন্দিরে পুজো দিয়ে যান। আজও ভক্তরা বংশ পরম্পরায় দেবীকে ভোগ দেওয়ার রীতি বহাল রেখেছেন। তাঁরা দেবীর জন্য ভোগ তৈরি করে নিয়ে আসেন।
সারা বছরই স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা নায়েকালী মন্দির দর্শনে আসেন। তাই এই জায়গাকে কালীপুজোর আগে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য থ্রি-ডি থিয়েটার, লেজার লাইট শো, ড্যান্সিং ওয়াটার ফাউন্টেনসহ অন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। মন্দির সংলগ্ন ঝিলে থাকছে ফোয়ারা।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/20/whatsapp-image-2025-10-20-2025-10-20-13-51-03.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us