/anm-bengali/media/media_files/2025/11/24/whatsapp-image-2025-11-24-2025-11-24-11-27-54.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: বেলদা থানার হেমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের আম্বিডাঙ্গর গ্রামে মাঝে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রাচীন বটগাছ। এই শীতের সময়ে সেই বট গাছে বাসা বাঁধে প্রচুর পরিমাণ পরিযায়ী পাখি। পাশাপাশি অনেক দেশীয় পাখিও এই সময় বটের ফল খেতে হাজির হয়। রবিবার সকাল থেকে গ্রামের ওই গাছের পাশে ও গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে শতাধিক পাখিকে মরে পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিষয়টি নজরে আসে বেশ কয়েকজন প্রকৃতিবন্ধুর। তাঁরাই খবর দেন বেলদা বনদপ্তরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন বনদফতরের কর্মীরা। সংগ্রহ করা হয় মৃত পাখিগুলিকে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাখিগুলির মধ্যে বেশিরভাগ হরিয়াল, কপার স্মিথ বার্বেট, কাক, ময়না, শালিক সহ বেশ কিছু সারস জাতীয় বড় পরিযায়ী পাখি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় থাকা আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ পাখি শিকারের লোভে বটের ফলে কীটনাশক স্প্রে করে আবার কোথাও বা মাছের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ওই গাছে রেখে দিয়ে আসত। আর সেই ফল বা মাছ খেয়ে মারা গিয়েছে এইরকমই শতাধিক পাখি। দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় হরিয়াল সহ বেশ কিছু পরিযায়ী পাখিরও মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় এক পরিবেশপ্রেমী ও ওয়ার্ল্ড লাইফ রেসকিউয়ার টিমের সদস্য সন্দীপ দাস বলেন, "রবিবার সকাল থেকে মৃত পাখিগুলিকে দেখতে পাই। সাথে সাথে বনদপ্তরে খবর দিয়েছি। আমি ও আমার টিমের সদস্যরা বেশ কিছু পাখিকে পরিচর্যা করে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। তবে, যেভাবে পাখিগুলোকে বিষ দিয়ে মারা হচ্ছে তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে"। বেলদা বনদপ্তরের রেঞ্জার তৌহিদ আনসারী বলেন, "ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। মৃত পাখিগুলির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই এলাকার আদিবাসী মানুষজন পাখি শিকারের নেশায় এই ধরনের কাজ করে ফেলেছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এলাকায় সচেতনতার কাজ চলছে"।
/anm-bengali/media/post_attachments/images/gallery/tours/608/357999687-443925.jpg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us