/anm-bengali/media/media_files/2025/10/07/khagen-murmu-2025-10-07-18-57-51.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: নাগরাকাটায় হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “খগেনের সঙ্গে কথা হয়েছে, এখন অবস্থা স্থিতিশীল। আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” তিনি আরও জানান, খগেন মুর্মুর ডায়াবেটিস রয়েছে, এবং তার মাত্রা কিছুটা বেশি। চিকিৎসকরা সে বিষয়েও বিশেষ নজর রাখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, খগেনের কানের নীচেও কিছুটা আঘাত লেগেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুধিয়ায় ত্রাণ শিবিরে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তাঁর যাওয়ার কথা ছিল মিরিকে। তবে তার আগে তিনি সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংসদকে দেখতে যান।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/07/khagen-murmu-a-2025-10-07-18-59-21.png)
উল্লেখ্য, সোমবার নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বামনডাঙা এলাকায় ঢোকার আগেই উত্তেজিত জনতা তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে লাঠি, জুতো, ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাংসদ নিজেই গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। ঠিক সেই সময়ই একটি ইট এসে লাগে তাঁর চোখের নীচে, যার ফলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন।
চিকিৎসকদের মতে, খগেন মুর্মুর চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে, এবং মুখে বড় ধরনের চোট লেগেছে। হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মুখে অস্ত্রোপচার করে পাত বসানোর প্রস্তুতি চলছে।
খগেন মুর্মুর ছেলে অনিমেশ মুর্মু জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা তাঁদের সব রিপোর্ট জানিয়েছেন। সাংসদের চোখের নীচ থেকে নাকের নিচ পর্যন্ত বড় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে, এবং এখন পর্যন্ত সাতটি সেলাই পড়েছে—প্রথমে পাঁচটি, পরে অবস্থা দেখে আরও দুটি সেলাই দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা বলেছেন, সম্পূর্ণ আরোগ্যের জন্য এখন তাঁকে কমপক্ষে ১৫ দিন কথা বলতে মানা করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হঠাৎ সফরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে—
রাজনীতি পাশে সরিয়ে ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রী’ নাকি রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছেন তিনি?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us