উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ, আতঙ্কে বাড়ি ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা! দিল্লি যাচ্ছেন কার্তিক মহারাজ

মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করতে চান কার্তিক মহারাজ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Kartik maharaj

নিজস্ব সংবাদদাতা: ওয়াকফ আইন নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে। পরিস্থিতি এতটাই অশান্ত যে বহু মানুষ প্রাণ বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। সুতি ও সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবার দিল্লি রওনা হচ্ছেন কার্তিক মহারাজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি জানাতে চান তিনি।

সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে অলিতে-গলিতে চলছে বিএসএফ-এর টহল। স্থানীয়দের ছাদের ওপর জমা রাখা পাথর ও ইটের টুকরো সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই টহল কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে তাঁদের। এক বাসিন্দা জানান, “সেন্ট্রাল ফোর্স আসার পর আমরা একটু নিঃশ্বাস নিতে পারছি।”

তবে আতঙ্ক এখনও পুরোপুরি কাটেনি। কয়েকটি ভয়ানক রাত এখনও মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ছাদে স্তূপ করে রাখা পাথর ও ইট দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। তাঁদের অভিযোগ, এগুলো পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল। এক আধিকারিক বলেন, “আপনারাই দেখুন, বিল্ডিংয়ের ওপর কেন এই পাথর রাখা হয়েছে, বুঝে নিন। আমরা এগুলো সরাব না। স্থানীয়দের দিয়েই সরানো হবে।”

murshidabad.jpg

এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করছেন, বারবার ফোন করলেও পুলিশ কোনও সাড়া দেয়নি। এক স্থানীয় বলেন, “তিন ঘণ্টা ধরে ফোন করা হয়েছে, কিন্তু পুলিশের কোনও খোঁজ নেই। এখনকার শাসন ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে।”

শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার সামশেরগঞ্জে গিয়ে থানায় দীর্ঘ বৈঠক করেন। কিন্তু তৃণমূলেরই ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন:

“জঙ্গিপুর পুলিশের গাফিলতির ফলেই এই পরিস্থিতি। যদি তাঁরা তাঁদের থানা এলাকায় ঘটে চলা ঘটনার সঠিক তথ্য আগেই দিতেন, তাহলে ডিজি রাজীব কুমার এত দেরিতে নয়, আরও আগে আসতেন। তাঁরা বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছেন।”

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, কংগ্রেস ও বিজেপি-র অনেক নেতাও প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।