কপিলমুনি মন্দিরে মাথার উপর দুর্যোগের ভ্রুকুটি, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

আবারও গঙ্গাসাগরের আকাশে দুর্যোগের ভ্রুকুটি। 

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
nr7fdcbn

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ গঙ্গাসাগর চারিদিকে জলরাশি বিস্তৃত। এই দ্বীপ ক্রমাগত ভাঙনের ফলে একটু একটু করে সমুদ্র ও নদী গর্ভে বিলীন হতে বসেছে। প্রতিবারই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে একটু একটু করে ভাঙনের কবলে পড়ে শেষ হচ্ছে গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগরে অন্যতম তীর্থক্ষেত্র কপিলমুনি মন্দির একটু একটু করে ভাঙনের কবলে নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী ভাঙন বন্ধ রাখার জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেই সকল পদক্ষেপ বিফলে যাচ্ছে।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় শক্তিতে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে বেশ কিছু জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে এমনকি তীর্থক্ষেত্র কপিলমুনি মন্দিরের সামনে যে সমুদ্র বাঁধ রয়েছে সেই সমুদ্র বাঁধেও ফাটল দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই সময় বাঁধ মেরামত করার কাজ চালানো হয়েছিল। আবারও গঙ্গাসাগরের আকাশে দুর্যোগের ভ্রুকুটি। 

betexas

অমাবস্যার কোটাল এবং ফারাক্কার বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। অমাবস্যার কোটালের জেরে আরো জলস্তর বৃদ্ধি হবে সমুদ্রে এবং সমুদ্রে জলস্তর বৃদ্ধি হলে কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গন চত্বর প্লাবিত হয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে গঙ্গাসাগরের ব্যবসায়ীদের জীবন।

বঙ্গোপসাগরে নতুন করে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যদি অমাবস্যা আর নিম্নচাপের জোড়া ফলা একসঙ্গে আঘাত হানে গঙ্গাসাগরে তাহলে মাটির নদী বাঁধ সাগরের রুদ্র মুক্তির হাত থেকে এলাকাবাসী ও গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরকে রক্ষা করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির প্রাঙ্গণের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষজনেরা প্রত্যেকে।