চার দিনে চারটি রক্তাক্ত রাত! কালিয়াচকে কি আবার দুষ্কৃতীদের রাজ?

কালিয়াচক আবারও দুষ্কৃতীদের দাপটে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বুধবার সন্ধ্যায় মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার মোজমপুর এলাকায় বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ঘটনায় কার্যত থমকে গেল গোটা জনপদ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
WhatsApp Image 2025-11-27 at 2.28.18 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা: কালিয়াচক আবারও দুষ্কৃতীদের দাপটে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বুধবার সন্ধ্যায় মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার মোজমপুর এলাকায় বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ঘটনায় কার্যত থমকে গেল গোটা জনপদ। মুহূর্তের মধ্যে লোকশূন্য হয়ে পড়ে এলাকা। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। গত চারদিন ধরে একের পর এক খুন, গুলি এবং হামলার ঘটনায় চরম অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে কালিয়াচক।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় একটি রেশন ডিলারের বাড়িকে লক্ষ্য করে পরপর একাধিক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বিক্ষিপ্ত গুলির আঘাতে আহত হন এক যুবক। হঠাৎ গুলির শব্দে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, মানুষজন যে যেখানে ছিলেন, সেখান থেকেই দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো এলাকা কার্যত ভূতুড়ে নীরবতায় ঢেকে যায়।

gun

খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতেও স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অপরাধ ঘটে যাওয়ার পরেই শুধু পুলিশ আসে, কিন্তু আগাম সতর্কতা বা প্রতিরোধ কোথায়? টানা অপরাধের ঘটনায় পুলিশি টহল, নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্যের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জোরালো ভাবে।

একাধিক বাসিন্দার বক্তব্য, কালিয়াচকে আবার দুষ্কৃতীদের রাজ কায়েম হচ্ছে। এত খুন, গুলি আর হামলার পরেও যদি কড়া ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাঁদের দাবি, এবার প্রশাসনকে কঠোরতম পদক্ষেপ করতেই হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবর্ষণের পিছনে কারা যুক্ত, কী উদ্দেশ্যে এই হামলা, তার নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে কিনা—সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে আতঙ্ক এখনো কাটেনি সাধারণ মানুষের মন থেকে।