ভেসলিনের কৌটোয় জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা! প্রীতির প্রতিভা

ফেলে দেওয়া জিনিসেই প্রতিভার ছাপ ফুটে উঠল।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-06-25 at 7.03.25 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: প্রতিটা মানুষের একটা না একটা স্বপ্ন থাকে। কেউ বা পাইলট হয়ে আকাশে বিমান ওড়াবে বা কেউ ডাক্তার কিংবা কেউ শিক্ষক হবে বড় হয়ে কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার রাজশহর গ্রামের নবম শ্রেণীর ছোট্ট প্রীতি সাউ- এর স্বপ্ন বা চিন্তা-ভাবনা একটু আলাদা। আমরা অনেকে বাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র বা আসবাবপত্র নষ্ট হলে ফেলে দিই কিংবা ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে দিয়ে থাকি। কিন্তু প্রীতি বাড়ির কোনও অব্যবহৃত জিনিসপত্র ফেলে না দিয়ে বরং সেগুলোকে নিজের হাতের কাজে লাগায়। সে কাগজের তলোয়ার তৈরি করেছে, কাগজ ও ফেলে দেওয়া ল্যাম্প দিয়ে তৈরি করেছে ব্যাঙের ছাতা। ফেলে দেওয়া কাঁচের বোতলে রং তুলি দিয়ে ডিজাইন করে ছোট্ট ফুলদানি তৈরি করেছে সে। 

সব থেকে অবাক করা বিষয় তার বাড়িতে সমস্ত দেব-দেবীর ছবি থাকলেও নেই জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা দেবীর মূর্তি। সামনেই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। মহিষাদলের রথ কিংবা দীঘার জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের মন কাড়বে হয়তো, কিন্ত দীঘায় জগন্নাথ দেবের রথের রশি টানার সৌভাগ্য হয়ে উঠবে না প্রীতির। তাই নিজের বোন কিংবা প্রতিবেশী ছোট ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে নিজের গ্রামের রাস্তায় রথ টানবে সে, কিন্তু রথ কই? প্রীতি ভেসলিনের কৌটোয় তুলির টানে ফুটিয়ে তুলেছে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি। আর সেই মূর্তিই রথে চড়ে যাবে মাসির বাড়ি। তার এই হাতের কারুকাজ দেখে প্রতিবেশী ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও আবদার ধরেছে তাদেরও বানিয়ে দিতে হবে এমন মূর্তি। অনেকেই ঘরের দেওয়াল সাজাতে বিভিন্ন ডিজাইন ফুটিয়ে তুলতে ভালোবাসেন বড় বড় শিল্পীদের দ্বারা। কিন্তু ছোট্ট প্রীতি নিজের হাতে তুলির টানে বাড়ির দেওয়ালে ফুটিয়ে তুলেছে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন। আর এভাবেই নিজের স্বপ্নকে আগামীদিনে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে পাঁশকুড়ার প্রীতি।

rath

diguadnew