/anm-bengali/media/media_files/2025/07/06/screenshot-2025-07-066-am-2025-07-06-10-57-04.png)
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেখে মনে হচ্ছে জল জমেছে বাগানে! আদতে সেটা সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ক্লাসরুম। সেখানেই চলছে উদ্ভিদবিদ্যার ক্লাস। চূড়ান্ত সমস্যায় পড়ুয়ারা থেকে অধ্যাপকরা। মহাবিদ্যালয়গুলিকে শ্মশানে পরিণত করতে চাইছে তৃণমূল পরিচালিত সরকার, কটাক্ষে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের কাজকর্ম হয়েছিল এই মহাবিদ্যালয়ে তখন থেকে এই অবস্থা। দ্রুত মেরামত করবে পূর্ত দপ্তর দাবি তৃণমূলের।
দুর্গাপুরের সরকারি মহা বিদ্যালয়ের তিন তলায় রয়েছে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ। সেখানেই হয় পড়ুয়াদের নিয়ে পঠন পাঠন। সেই বিভাগের প্রায় সমস্ত রুম জরাজীর্ণ। বৃষ্টি হলেই সেই জল ঢুকছে ক্লাস রুমের ভেতর। আর সেই জল ঢুকে থৈথৈ করছে ক্লাসরুমের মেঝে। ছাদের অবস্থাও বেহাল। বিদ্যুতের ঝলকানি আর থৈ থৈ করা জলের মাঝেই চলছে উদ্ভিদবিদ্যার ক্লাস। বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে পড়ুয়াদের আর অধ্যাপকদের মধ্যে। পড়ুয়াদের অভিযোগ,"আমাদের চরম সমস্যার মধ্যে ক্লাস করতে হয়। জলের উপর পা রেখে ক্লাস করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। জানালা খোলা রাখার থাকলে জল ঢুকছে আর না খুলে রাখলে গরমে থাকা যাচ্ছে না। খুব ঝুঁকি নিয়ে আমরা ক্লাস করছি।" কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির মুখপাত্র সুমন্ত মন্ডল বলেন, "মহাবিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। কোন উন্নয়ন নেই মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের।শ্মশানে পরিণত হয়েছে রাজ্যের মহাবিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়। দ্রুত এই মহাবিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার করতে হবে এই দাবি আমরা করছি।" যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা শুভ্রজ্যোতি মজুমদার বলেন,"গত লোকসভা নির্বাচনের সময় এই মহাবিদ্যালয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত জিনিসপত্র বিতরণ হয়েছিল। তখন থেকেই এখানে একাধিক ক্লাসরুমের দরজা-জানলা ভাঙা। আমরা সংস্কারের জন্য আবেদন করেছিলাম প্রশাসনের কাছে। সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। কিছুদিনের মধ্যেই সংস্কার হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।" উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অশোক ভট্টাচার্য বলেন,"কিছুদিন আগেই পূর্ত দপ্তর ক্লাসরুমের ভেতর মেরামত করেছিল। তারপরেও বৃষ্টির জল ডুকছে। বাইরেটা সংস্কার না হওয়ার জন্য এই সমস্যা হচ্ছে। আমরা সংস্কারের আবেদন করেছি।"