/anm-bengali/media/media_files/BitTBNLpDZw5peHPSrBn.jpg)
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশে,মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও ফাইলপত্র হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে জমা থাকবে। হাইকোর্টের কোন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে, তা ঠিক করবে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমনের সচিবালয়।
/anm-bengali/media/media_files/l8P7f6bNUPVpTBQHXCNt.webp)
প্রসঙ্গত, সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এক ধাক্কায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। ভোটের মাঝে হাইকোর্টের এই রায়ের পরই ফুঁসতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
ভরা সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “এরা আদালত কিনে নিয়েছে। আমি সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না। সিবিআই, বিএসএফকে কিনে নিয়েছে। বিচারপতি নিয়ে আমি কিছু বলছি না, কিন্তু রায়দান নিয়ে বলার অধিকার রয়েছে। এই রায় এক তরফা।”
কলকাতা হাইকোর্টকে বিজেপির বিচারালয় বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিয়োগ বাতিলের রায়কে 'বেআইনি' বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের রায় প্রভাবিত বলে গেরুয়া শিবিরকেও নিশানা করে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
/anm-bengali/media/media_files/eP7S9EFx6gMk7Uzyewoe.jpg)
বিচারব্যবস্থাকে নিয়ে করা একাধিক মন্তব্যের ভিত্তিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়েছিলেন বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এছাড়াও অনিন্দ্য সুন্দর দাস এবং কৌস্তভ বাগচী আলাদা করে আবেদন করেছিলেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বলা একাধিক বক্তব্য প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবারই হলফনামা আকারে হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। হলফনামায় মুখ্যমন্ত্রীকে সাবধান করার আবেদন জানিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, "পূর্বেও মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করেছে হাইকোর্ট।" ওদিকে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "ওঁ (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বারংবার বিভিন্ন জায়গায় বিচারপতি, বিচার প্রক্রিয়া, বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন।"
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us