নিজস্ব সংবাদদাতা: আউসগ্রামের জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে 'রঘু ডাকাত'! তারই মাঝে দুর্গাপুর পুলিশের জালে লক্ষ্মী ডাকাত। নাম তার লক্ষ্মী সাহানি। দিনের আলোয় হোক বা রাতের অন্ধকার তার কাছে চুরি, ছিনতাই কোন ব্যাপারই না। মহিলাদের সোনার চেন নজর পড়লেই কয়েক সেকেন্ডে গলা থেকে ছিঁড়ে নিয়ে চলে যেত। পকেটের লক্ষ্মীও কয়েক সেকেন্ডে বের করে নিত।
কেউ টের পাওয়ার আগেই সেও হাওয়া হয়ে যেত। সুযোগ পেলে ফাঁকা বাড়িও সাফ করে দিত। ছোটখাটো ডাকাতির ঘটনাও সে ঘটাতো। তার সঙ্গে এই কাজে সহযোগিতা করত তারই সাগরেদ মনিরুল মিদ্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, লক্ষ্মী সাহানীর দুই পা ভাঙা, কোমরেও রয়েছে সমস্যা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোকওভেন থানায় এইরকমই বহু চুরি ছিনতাইয়ের অভিযোগ জমা পড়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/10/APLZWWWqwCkkH351yfoE.jpeg)
বুধবার রাতে কোকওভেন থানার ডিপিএল কলোনিতে মহিলার সোনার চেন ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল একটি নাম্বার প্লেট বিহীন বাইকে করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোকওভেন থানার সশস্ত্র পুলিশবাহিনী সেখানে হানা দেয়। পুলিশ সাগরেদ মনিরুল মিদ্দাকে পাকড়াও করে, তবে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় লক্ষ্মী। পুলিশও তাকে ধাওয়া করে একেবারে বীরভূমের বোলপুর থেকে পাকড়াও করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই চক্রের মূল অভিযুক্ত লক্ষ্মী সাহানি বোলপুরের বাসিন্দা আর তার সাগরেদ মনিরুল মিদ্দা বড়জোড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের দশ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছে কোকওভেন থানার পুলিশ।