/anm-bengali/media/media_files/2025/09/04/whatsapp-image-2025-09-04-2025-09-04-12-32-57.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কেশপুর: শহর বা গ্রামীণ এলাকার মাছের বাজারে গেলেই আঁশের স্তূপ লক্ষ্য করা যায়। বিক্রেতারা বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রির পর আঁশ নর্দমায় ফেলে দেন। কিন্তু সেই আঁশ ব্যবহার করেই দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগাল কেশপুর ব্লকের মহিলারা। মহিলাদের হাতের কাজ দেখে সাধারণ মানুষ মুগ্ধ। ছবিটা কেশপুরের উত্তরপাড়া এলাকার। এই এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, গ্রামের বেশ কিছু মহিলা আঁশ ব্যবহার করে নানা জিনিস তৈরি করছে। সেই জিনিস বিভিন্ন মেলায় বিক্রি হচ্ছে। আঁশ ব্যবহার করে তৈরি জিনিসের বিক্রি হওয়ায় অর্থ উপার্জন হচ্ছে। শিল্পীদের কথায়, আঁশ ব্যবহার করে নানা জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেয় প্রশাসন। সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ফিরে মাছের আঁশ ব্যবহার করে নানা জিনিস তৈরি করা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন মেলায় ও প্রদর্শনীতে আঁশের তৈরি জিনিস বিক্রি হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্গা মায়ের প্রতি মহিলাদের টান রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই আঁশ ব্যবহার করে দুর্গা মায়ের প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক মিশন ডিরেক্টর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা শাসক ( কৃষি) গোবিন্দ হালদার বলেন, "সারা বছর ধরেই মহিলারা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেছেন। জেলার মহিলাদের হাতের কাজ দেখে সকলেই মুগ্ধ। আগামী দিনে মহিলাদের আরও নানাভাবে সহযোগিতা করা হবে। জেলার ১০০% মহিলাকে স্বনির্ভর করে তোলাই প্রধান লক্ষ্য"। তবে প্রশ্ন , কিভাবে মহিলারা মাছের আঁশ ব্যবহার করে নানা জিনিস তৈরি করছে?
জানা গিয়েছে, কেশপুর ব্লকের উত্তর পাড়া এলাকার মহিলারা নিয়মিত বাজারে গিয়ে কাতলা মাছের আঁশ জোগাড় করছে। অন্য মাছের আঁশ ব্যবহার করে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এরপর বাড়িতে নিয়ে আসার পর সেই আঁশকে পরিষ্কার করার জন্য মিউরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। পরে আঁশগুলোকে বড় পাত্রের সাহায্যে সার্ফ ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলে মহিলারা। ভিজে থাকা আঁশ একদম হালকা রোদে শুকনো করা হয়। শুকনো আঁশ সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষে নিলে মাছের আঁশ আরও মসৃণ হয়ে যায়। পরে কাঁচির সাহায্যে আঁশ কেটে নানা জিনিস তৈরি করছে মহিলারা। মাছের আঁশ ব্যবহার করে তৈরি জিনিস ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/nzGQShDy0asqubHxZckU.jpg)
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার চাইছে জেলায় জেলায় মহিলাদের স্বনির্ভর করতে। সেইমত জেলার মহিলাদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রশাসনের উদ্যোগে। জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেও মহিলাদের স্বনির্ভর করার বার্তা দিয়েছেন। রাজ্য সরকারও চাইছে জেলার হস্ত শিল্পের বিকাশ করতে। সেই কথা মাথায় রেখেই কেশপুর ব্লকের মহিলাদের মাছের আঁশ ব্যবহার করে বিভিন্ন জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আঁশ শিল্পী কাবেরী ফৌজদার বলেন, "দুর্গা মা আসছেন। তাই আঁশ ব্যবহার করে দুর্গা মায়ের প্রতিমা তৈরি করেছি। আঁশের তৈরি দুর্গা প্রতিমার উচ্চতা দেড় ফুটের মতন। আঁশ ছাড়াও দুর্গা মায়ের সাজসজ্জার জন্য পুঁথি ব্যবহার করা হয়েছে"।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us