সিঁদুরে রেঙে দুর্গা উৎসবের খুঁটি পুজো

সিঁদুরে দুর্গা উৎসবের শুরু, বর্ষার মাঝে খুঁটি পুজো।

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Screenshot 2025-07-27 4.24.06 PM


নিজস্ব প্রতিনিধি: আকাশ জুড়ে কালো মেঘের রাজত্ব। শ্রাবণের দাপটে চারদিক ভিজে একাকার। কিন্তু সেই ভেজা পথেই শুরু হয়ে গেল বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোর প্রথম পর্ব খুঁটিপুজো। কারণ, মা আসছেন আর বাকি মাত্র দু’মাস। রাজ্যের প্রতিটি কোণায় শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। ঢাকের তালে তালে নেচে উঠছে শহর, পাড়া-মহল্লা। আর সেই আনন্দে এবারও গর্জে উঠল দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী পুজো কমিটি এস.এন বসু, রামানুজম বঙ্কিমচন্দ্র দুর্গাপুজো কমিটি। সকাল থেকেই চোখে পড়ল এলাকার মহিলাদের উচ্ছ্বাস। সিঁদুর খেলায় রাঙা মুখে, হাসিতে, আনন্দে, আর নাচে যেন ভেসে উঠল সারা পাড়া। তবে এই পুজোর বিশেষত্ব একটাই এটি সম্পূর্ণরূপে পরিচালিত হয় এলাকার মহিলাদের দ্বারা। পা দিল ৪৯ বছরে। আর এবারের থিম এক কথায় মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো ‘যুদ্ধের অবসানে সবুজায়নের আহ্বান’। একদিকে শান্তির বার্তা, অন্যদিকে প্রকৃতির কোলে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি। এবারের বাজেট প্রায় ৫ লক্ষ টাকা সবটাই খরচ হবে ভাবনার সঙ্গে শিল্পকে মেলাতে।

 সকাল থেকেই খুঁটিপুজো ঘিরে এলাকায় উৎসবের আবহ। বৃষ্টির মধ্যেই উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি আর রঙিন শাড়িতে সেজে উঠেছেন পাড়ার মা-কাকিমারা। কেউ পুজো সামলাচ্ছেন কেউ প্যান্ডেলের কাঠামো ধরছেন হাতে। আনন্দ যেন থেমে থাকতেই চাইছে না। খুঁটিপুজো মিটতেই শুরু হয়ে গেল প্যান্ডেল তৈরির তোড়জোড়। কাঁদামাটি মেখেই গড়ে উঠছে এক আশার শিল্পভুবন। এই পুজো শুধু পূজো নয়, এই পুজো এক অঙ্গীকার, এক শক্তির প্রকাশ। কোষাধ্যক্ষ অনিমা হেমব্রম বলেন, "ছোটবেলায় বাবা-কাকারা পুজো করত। এখন আমরাই করি। প্যান্ডেল হোক বা প্রসাদ, সবকিছুতে আমরা হাত লাগাই। পুজোর কটা দিন তো ঘরেই যাই না, মন্ডপই আমাদের সংসার হয়ে যায়। আজ থেকেই শুরু, না খেয়ে থেকেও আমরা কাজ করে যাব!" আসলে, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই বাঙালি জানিয়ে দিল মা আসছেন, আর এইবারও তিনি আসবেন নারীদের হাত ধরে, সবুজের স্বপ্ন বুকে নিয়ে।