নিজস্ব সংবাদদাতা: হেরিটেজ ঘোষণা হওয়া সরকারি জায়গা দখল করে আবাসের বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠল নাড়াজোল রাজবাড়ির দুই সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে ব্লক ভূমি দফতর তৎপরতার সঙ্গে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে জায়গা দখলমুক্ত করল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের নাড়াজোল রাজবাড়ির ঘটনা।
অভিযোগ, রাজবাড়ির যে অংশ রাজ্য সরকার হেরিটেজ ঘোষণা করে সংরক্ষণের আওতায় এনেছে সেই জায়গা দখল করে আবাস প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন রাজবাড়ির দুই সদস্য। অভিযুক্ত দুই সদস্য বিদ্যুৎ খান ও মিহির খান নাড়াজোল রাজবাড়ির প্রয়াত ছোট রানি রঙ্গলতা খানের উত্তরাধিকারী। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ঘোষিত খাস জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দাসপুর এক নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।
ব্লক ভূমি দপ্তর সূত্রে খবর, রাজবাড়ির যে অংশ রাজ্য সরকারের দ্বারা ঘোষিত খাস জায়গা সেই ৯৮৪ দাগে পাকা বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন অভিযুক্তরা।অভিযোগ পেয়ে দাসপুর এক নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক,ঘাটালের এসডিএলআরও,ভূমি দফতরের কর্মীরা ৯৮৪ নম্বর দাগে ভূমি দফতরের নোটিস বোর্ড সেঁটে দেন।
পাশাপাশি, আরও তিনটি দাগ যথাক্রমে ৯৬৬, ৯৭০ ও ৯৮২ দাগেও ভূমি দফতরের নোটিস বোর্ড সেঁটে দেওয়া হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, এই দাগগুলি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মালিকানাধীন। দাসপুর এক নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বলেন,দাসপুর এক নম্বর ব্লকের নিজ নাড়াজোল মৌজায় ৯৬৬, ৯৭০, ৯৮২ ও ৯৮৪ দাগগুলিতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই দাগগুলি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মালিকানাধীন। এই দাগগুলিতে কোনও ধরনের নির্মাণ কাজ করা বেআইনি।অভিযুক্তদের বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
নোটিস পেয়ে ৯৮৪ নম্বর দাগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বিদ্যুৎ খান। তিনি বলেন, "ব্লক ভূমি দফতর থেকে আমাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু ওই জায়গা রানি অঞ্জলি খান আমাকে দানপত্র করে দিয়েছিলেন ১৯৬৮ সালে। সেই কাগজ আমার কাছে রয়েছে।