/anm-bengali/media/media_files/2025/10/14/560091109_1359246962237693_8073152856699401573_n-2025-10-14-16-39-38.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম দার্জিলিঙের সুখিয়াপোখরি। লাগাতার বৃষ্টি ও ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই অঞ্চল। আর তাই শেষ মুহূর্তে সফরসূচি বদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার মিরিক না গিয়ে যাচ্ছেন সুখিয়াপোখরিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তিনি কার্শিয়াং থেকে সড়কপথে সুখিয়াপোখরির উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে ত্রাণ শিবিরে যোগ দিয়ে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী এবং নিহতদের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকে সরাসরি দার্জিলিঙে পৌঁছবেন তিনি।
এর আগে সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় ত্রাণ শিবিরে গিয়ে বিপর্যয়ে নিহত দশজনের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র ও ক্ষতিপূরণ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/14/560755494_1359246425571080_4254738650118624810_n-2025-10-14-16-38-38.jpg)
এদিকে পাহাড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। মঙ্গলবারই জিটিএ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট তুলে দেবে। জানা গিয়েছে, জিটিএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়জুড়ে বন্যা ও ভূমিধসে মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা। এই রিপোর্টটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মমতার এই দ্বিতীয় উত্তরবঙ্গ সফর শুধুমাত্র ত্রাণ বিলি ও বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পাহাড়ে আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক আলোচনাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সফরের ফাঁকে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সব মিলিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর এই আকস্মিক সফর বদল এবং পাহাড়ে যাত্রা ঘিরে রাজনৈতিক মহল ও প্রশাসনের দৃষ্টি এখন সুখিয়াপোখরির দিকেই।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us