/anm-bengali/media/media_files/2025/11/20/whatsapp-image-2025-11-20-2025-11-20-20-19-40.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: যে জেলায় বৃক্ষরোপন করে দুখু মাঝি পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন বাড়ানোর দাবি করছে বনদপ্তর, সেই পুরুলিয়া জেলাতেই রমরমিয়ে চলছে বন থেকে গাছ কেটে কাঠকয়লা (চারকোল) তৈরীর অবৈধ কারবার। আইনের ফাঁক গলে চলছে এই কারবার। জঙ্গলমহলের একাধিক জায়গায় এই কাঠকয়লা তৈরীর ভাটা বা চুল্লি আছে। বান্দোয়ানে আছে বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিস থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার বান্দোয়ান বোরো রাজ্য সড়কর পশে জাইরাডি এলাকায়। চুল্লি থেকে ধোঁয়ায় ভরে যায় চারদিক। কেউ দেখতে পায় না। যেমন বান্দোয়ানের চুল্লিতে আগুন জ্বললে এবং কাঁচা কাঠ ডাঁই করে রাখা থাকলেও কর্মীরা বলতে চাননি মালিক কে।
বিচিত্র এমন কারবারে কিন্তু ব্যবসা হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ টাকার। কাঁচা কাঠ জঙ্গল থেকে এনে বিশেষ চুল্লিতে ঢুকিয়ে আগুন দিয়ে কাঠকয়লা তৈরী হয়। এই কয়লা বেশি কাজে লাগে অলঙ্কার তৈরীর কারখানায় ও ধাতু গলানোর কাজে।
এলাকার স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যায় কাঠকয়লার ভালো চাহিদা ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর, ঘাটশিলা ও গালুডি এলাকায়। কারণ স্টিম কয়লার থেকে, এর তাপ অনেক বেশি তাই চাহিদাও বেশি। তাই এই ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠছে। সরকারিভাবে কাঠকয়লা তৈরীর অনুমোদন না থাকলেও বনদপ্তর একমাত্র কাঠের আবর্জনা বা বর্জ্য পোড়ানোর ফায়ার লাইসেন্স দিয়ে থাকে। বনদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, এই জেলায় চারকোলের অনুমোদন কেউ পায়নি। তবুও এলাকায় রমরমিয়ে চলছে কাঠ-কয়লা তৈরি।
যদিও এলাকার মানুষ জানান, এই কাঠ-কয়লার কারখানা থেকে কাঠ রপ্তানি করার জন্য একটি মূল রাস্তা রয়েছে। সেটি আবার বনদপ্তরের অফিস ও থানার পাশ দিয়েই যায়। বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের বর্ডারে রয়েছে পুলিশের নাকা, রয়েছে বনদপ্তর এর চেকিং পয়েন্টের ব্যবস্থা। তারপরও অবাধে চলছে কাঠ-কয়লা পাচার। এলাকার মানুষ সরাসরি কিছু না বললেও কাদের মদতে কিভাবে এ ধরনের ব্যবসা চলছে জানেন সকালেই। যদিও এই দপ্তর বিভিন্ন সময় প্রকৃতি বাঁচাতে গাছ বাঁচাও পরিবেশ বাঁচাও- এর মতো অনুষ্ঠন করে থাকে। তবুও এই পাচারকারীরা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে এই ধরনের ব্যবসা।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/20/whatsapp-image-2025-11-20-2025-11-20-20-19-52.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us