বেহাল দশা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের! ঝুঁকি নিয়ে চলছে রান্না

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গর্ভবতী মহিলা সহ শিশু মিলিয়ে মোট ১২২ জনের মিডডে মিলের রান্না হয়,এদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা ২২ জন এবং কেন্দ্রে পড়াশোনা করে ১০০ জন শিশু।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
mid day meal cook

বিষ্ণুপুর তালন্দিমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম  মেদিনীপুর : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুয়ারে অ্যাসবেস্টসের চালা ভেঙে ঝুলছে। তার নিচেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে মিডডে মিলের রান্না। বসার জায়গা না থাকায় গ্রামের আটচালায় চলে শিশুদের পড়াশোনা।নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয়জলের ব্যবস্থা,এমনই বেহাল অবস্থা দাসপুরের ৩৪ নং বিষ্ণুপুর তালন্দিমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের,হুঁশ নেই প্রশাসনের। বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছবি দেখে আঁতকে ওঠার মতো অবস্থা অভিভাবক থেকে এলাকাবাসীর। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-২ ব্লকের সাহাচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৪ নং বিষ্ণুপুর তালন্দিমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।
জানা যায়,ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গর্ভবতী মহিলা সহ শিশু মিলিয়ে মোট ১২২ জনের মিডডে মিলের রান্না হয়,এদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা ২২ জন এবং কেন্দ্রে পড়াশোনা করে ১০০ জন শিশু।অভিযোগ,দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।দুয়ারে অ্যাসবেস্টসের চালা ভেঙে ঝুলছে। চারিদিক কাঠের ঝিটে বেড়া দিয়ে ঘেরা।তারই নিচে ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন চলছে মিডডে মিলের রান্না। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। শিশুদের খাবারে যে কোনো রকম পোকামাকড় যে  পড়বে না তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।আর কেন্দ্রের এহেন বেহালদশার কারণে ওই ভবনের ভিতরে শিশুদের বসানোর ঝুঁকি নিতে সাহস পায়নি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা।তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের একটি আটচালায় কম্বল পেতে চলছে শিশুদের পড়াশোনা।এতো গেলো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবনের বেহালদশার কাহিনি। বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেই ওই কেন্দ্রে।মিডডে মিলের রান্নার জন্য দূর থেকে পানীয় জল এনে রান্না করতে হয় রাঁধুনিকে।দীর্ঘ দিন ধরে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে এলাকার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। কিন্তু কোনো হুঁশ নেই প্রশাসনের। এমনই অভিযোগ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসীর।দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ করুক প্রশাসন, চাইছেন অভিভাবকরা।এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক মণ্ডল  জানান, ''আগে এই কেন্দ্রটির চারিদিকে জঙ্গল ঘেরা ছিল। আমি আসার পর দুয়ারে চালা সহ মেরামতের কাজ করাই।তবে আবারও একটি এস্টিমেট করে জেলায় পাঠানো হয়েছে,সরকারি টাকা আসতে দেরি হচ্ছে। তা চলে এলেই পানীয় জল থেকে বেশকিছু পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হবে।"